সব স্তরে দলীয় আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে

109

জান্নাতুল ফেরদৌসঃ সরকারগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বাস করে না। নিজ স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সরকারকে উদার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের মতো চলতে দিতে হবে। সব স্তরে দলীয় আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই? বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক এক আয়োজনে এসব কথা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আয়োজনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী ধরনের সংস্কার হওয়া প্রয়োজন, সে প্রস্তাব তুলে ধরেন শিক্ষকেরা।

লিখিত প্রস্তাব পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা ও রুশাদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পারভীন জলী, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহা তানজিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌম্য সরকার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও লাবনী আশরাফি।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটগুলো রাষ্ট্রব্যবস্থার সংকটের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তারা বলছে, এ জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থার সংকটগুলোর সমাধান হওয়া দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। প্রস্তাবে তারা বলেছে, সব স্তরে দলীয় আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামোর ভেতরেই একাডেমিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। প্রশাসনের পদে থাকা শিক্ষকদের সমিতির নির্বাচনে যাওয়া যাবে না।

এ ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে না রাখার প্রস্তাব করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তারা বলেছে, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উপাচার্য ও সহ–উপাচার্যের তুলনায় বিভাগের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেবল মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া থেকে সরে আসতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ব্যাংক কীভাবে টাকা-পয়সার লেনদেন করবে তা শেখানোর কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো ভিত্তি তৈরি করা, বোঝাশোনার ক্ষমতা, বিশ্লেষণের ক্ষমতা, উপলব্ধির ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা। তারপর সেটাকে অবলম্বন করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে যাবেন।