নুরুজ্জামান সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সুনামগঞ্জ জেলা থেকে নারী-পুরুষসহ সাধারন কোটা, মিুক্তিযোদ্ধা কোটা, পুলিশ পোষ্য কোটা, আনসার ও ভিডিপি কোটা, এতিম কোটা, উপজাতীয় কোটায় মিলিয়ে ২৫৫ জনকে ১০০ শত টাকায় পুলিশে নিয়োগ দিয়েছেন পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ মোঃ বরকতুল্লাহ্ খান।
এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইনের মাঠে জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইনের মাঠে সুনামগঞ্জে জেলা কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছেন পুলিশ নিয়োগ কমিটির সভাপতি পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ মোঃ বরকতুল্লাহ্ খান। পুলিশ সুপার বলেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পুলিশের চাকুরি হয়েছে, কারো কোন সুপারিশে চাকরি হয়নি।কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার চুরান্ত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগনের সেবক হিসেবে পাশে থেকে শান্তি শৃংখলায় কাজ করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন রক্তচক্ষু বা কোন প্রভাবশালী কাউকে আমরা পরোয়া করি নাই। আমরা সুনামগঞ্জের গণমাধ্যম কর্মীদের বলে ছিলাম একশো টাকায় পুলিশ সদস্য নিয়োগ হবে। কতোটা স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের কাছ থেকে সাংবাদিকগণ তা জানতে পারবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শারিরীক যোগ্যতা, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্তিক স্বক্ষমতার বিচার করা হয়েছে। কারো কোন সুপারিশে, কারো কোন তদবিরে তোমাদের চাকরি হয় নাই। তোমাদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই তোমরা উর্ত্তীর্ন হয়েছ। কেউ যদি পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে আশ্বাস দিয়ে চাকরি হলে টাকা দিও, এখন দেয়ার দরকার নাই এরকম কথা বলে কারো সঙ্গে এ ধরনের লেনদেন করবেন না। এটি একটি ভুয়া কথা। কারো কোন সুপারিশে চাকরি হয় নাই। আমরা কারো কোন সুপারিশ বিবেচনায় আনি নাই। কাউকে যদি কোন আশ্বাস দিয়ে থাকেন, আমরা যদি সেটা জানতে পারি, সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। পুলিশ সুপার চ্যালেঞ্জ করে বলেন, কোন কনষ্টেবলের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে প্রমান দিতে পারলে সুনামগঞ্জ থেকে চলে যাব।
এবার ২৫৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়োগের জন্য সরকার আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন আমরা কোঠা পূরন করেছি। যারা যোগ্য তারাই নিয়োগ পেয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিপুর্ন পেশাদারিত্ব সততা নিষ্ঠার সংঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
আজ কনস্টেবল পদে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা ঘুষ ও দূনীর্তিমুক্তভাবে। মেধার ভিত্তিতে এবং স্বচ্চতার সাথে সকল নিয়োগপ্রাপ্ত নবীন পুলিশ সদস্যদের প্রতি তিনি আহবান জানিয়ে আরো বলেন আমরা যারা আইন শৃংখলা বাহিনীতে জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করছি সবাইকে মনে রাখতে হবে জনগনের টেক্স এর টাকায় আমাদের বেতন ভাতা হয়। তাই দেশপ্রেম নিয়ে প্রতিটি পুলিশ সদস্যদের যার যার অবস্থান থেকে অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জের পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ নিয়োগ কমিটির সদস্য হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ সারোয়ার ও হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবু শৈলেন, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আজাদ ও মামুন চিশতিসহ নিয়োগ বোর্ডের প্রতিনিধিগণ।
এবছর পুলিশ সদস্য পদে মোট ১৬২২ জন আগ্রহী প্রার্থী প্রাথমিক পর্বে অংশ নিয়ে বাছাই পর্বে ১ হাজার ৬০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৫ জন নারী পুরুষকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। পুরুষ সাধারণ কোঠায় ১২৩ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ৭২ জন, সাধারন কোঠায় নারী ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ৭ জন, পুলিশ পোষ্য কোঠায় ৩ জন, উপজাতি কোঠায় ২ জন ও আনসার কোঠায় ৩ জন পরীক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন।