সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাট জমেছে উঠেছে

651

মোঃ নুর নবী জনিঃ ঈদুল আজহার আর মাত্র বাকি ২ দিন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটে সর্বোচ্চ সংখ্যক কুরবানীর পশু ক্রয় বিক্রয় হবে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা মনে করছেন।
এরই মধ্যে ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির গরু। তবে এখনো কোনো বেচাকেনা নেই। মাঠ দখল করা এবং পশুর বাড়তি যত্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
এবার ঈদের শেষ দুদিন অর্থাৎ ১০ ই আগস্ট শনিবার ও ১১ ই আগস্ট রবিবার এই দুই দিন কাইকারটেক হাটে হাট বসবে। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় কাইকাটেক হাটের বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানে হাসলির পরিমান খুবই কম এছাড়া এই হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা ও থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা পাশাপাশি বর্ষা মৌসুম হওয়ায় তেলপাড় টাঙানো হয়েছে ফলে বৃষ্টিতে কুরবানীর পশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাছাড়া কুরবানীর পশুর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের একটি টিম সবসময় এখানে অবস্থান করবে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর এর ব্যবস্থা রয়েছে উপজেলার অন্যান্য পশুর হাটগুলোতে এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে অধিকাংশ পাইকাররা গরু ছাগল মহিষ ভেড়া ও উট সহ অন্যান্য কোরবানির পশুর হাটে আসতে শুরু করেছে।
শুক্রবার ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাটসহ কয়েকটি হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা।সোনারগাঁয়ের ১৬টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট ২ স্থায়ী পশুর হাট।
কাইকারটেক হাটে গিয়ে দেখা যায়,দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসছেন বেপারীরা।
পাবনার আকবর আলী বলেন, ‘কিছুদিন পর রাস্তায় যানজট বেড়ে যাবে। বিপুল পরিমাণ গরু আনা হয় বলে সুবিধামতো স্থানে গরু রাখা যায় না। তাই আগেভাগেই গরু নিয়ে এসেছি। এখন পছন্দমতো জায়গা পাওয়া যাবে। তবে কোনো গরু বিক্রি হচ্ছে না। কেউ কেউ তাঁদের হাটে নিয়ে আসা গরু বা ছাগলকে গোসল করাচ্ছেন। আকবর আলী আরো বলেন, ‘আমার কাছে যে গরু আছে তার বেশির ভাগেরই দাম ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাটে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেপারীরা গরু নিয়ে আসছেন, বিশেষ করে রাজশাহী , যশোর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুরসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে।
ঐতিহাসিক কাইকারটেক হাটের ইজারাদার কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু জানান, শনিবার ও রবিবার দিন রাত ২ দিন হাটে পশু বিক্রয় করা হবে। হাটে নিরাপত্তায় থাকবেন পুলিশ প্রশাসন ও ভলেন্টিয়ার, পাইকারদের সুযোগ সুবিধার জন্য উপরে লাগানো হয়েছে এবং তাদের থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমিত হাড়ে আসলি নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মনির জানান, কোরবানির পশু হাটের নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যেই হাট ইজারাদারদের সাথে বিশেষ সভা করেছি। এসআই ও এএসআই-এর নের্তৃত্বে ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি টিম হাটে টহল দিচ্ছে।তিনি আরো জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ যাতে নিরাপত্তার সাথে পশু কেনা-বেচা ও টাকা পয়সা লেনদেন করতে পারে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চত করা হচ্ছে। জাল টাকা শনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।হাটে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধে সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে হাটে এখনো কোনো টাকা ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি।