ইমাম হত্যার ঘটনার আসামি গ্রেফতার, আসামীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

380

মোঃ নুর নবী জনিঃ নারায়নগন্জের সোনারগাঁয়ের মল্লিকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে তাকে মাদারীপুর শিবচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ইমামকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত আসামী ওয়াহিদুজ্জামান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া বাইতুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় তার ঘাতক বন্ধু ওয়াহিদুজ্জামান। নিহত ইমাম দিদারুল ইসলাম তার পাওনা টাকার জন্য চাপ দিলে গত বুধবার(২১আগস্ট) রাতে মল্লিকপাড়া মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের কাছে আসার সময় তার বন্ধু ওয়াহিদুজ্জামান দুটি কোকের বোতল এর মধ্যে একটি বোতলে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে,ঘুমের ওষুধ মিশানো বোতলটি ইমাম দিদারুল ইসলামকে খেতে দেয় এবং অন্য বোতলটি সে নিজে খায়,খাওয়ার পর দিদারুল ইসলাম ঘুমিয়ে পড়লে তার শয়ন কক্ষে রাখা কোরবানীর পশু জবাইয়ের ছুড়ি দিয়ে তাকে জবাই করে ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামান। জবাইয়ের পরে ঘাতকের রক্তমাখা লুঙ্গি ও দুটি কোকের বোতল মসজিদের পাশের ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামান মাদারীপুর শিবচর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম।
হত্যাকান্ড ঘটনার ৬ দিন পর সোনারগাঁ থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মাদারীপুর এলাকা থেকে দিদারুল ইসলামের খুনী ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বুধবার দুপুরে মল্লিকপাড়া মসজিদের পাশের ডোবা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও কোকের দুটি বোতল আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ড ঘটনার পরের দিন নিহত ইমাম দিদারুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত দিদারুল ইসলাম নড়াইলের কালিয়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আফতাব ফরাজীর ছেলে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরেন।