অনৈতিক সুবিধা পেয়ে নথির কপি দিচ্ছি ফতুল্লা থানা পুলিশ

770

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফতুল্লা থানা থেকে কোন নথির, জিডির, অভিযোগের বা কোর্ট থেকে ফাইল আসলে কপি দেওয়া যায়না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম। তবে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে নথির কপি দিচ্ছি ফতুল্লা থানা পুলিশ।

২রা নভেম্বর সময়ের চিন্তার প্রতিনিধি সংবাদ প্রকাশ করার জন্য এ এস আই সাইফুল ইসলামের কাছে বাদীর আবেদনের একটি কপি চাইলে বলে ওসি সাহেবের অনুমতি ছাড়া আমি কোন কপি দিতে পারব না। প্রতিবেদক ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম সাহেবের কাছে এ কথা বললে তিনি(আসলাম) এ এস আই এর সুর ধরে উপরোক্ত কথা বলেন। তবে প্রতিবেদকের কাছে কোর্টের আদেশের কপি চলে আসে কিছুক্ষন পরেই। তাহলে কি বুজা যাচ্ছে যে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে নথির কপি দিচ্ছি ফতুল্লা থানা পুলিশ কিন্তু সংবাদ করার জন্য সাংবাদিক কোন কপি পাচ্ছেনা।  নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে বিষয়টির ব্যাপারে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি সুলতান মাহমুদ।

সুত্রমতে, রামার বাগ নিবাসী তাজুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৪৫ ধারায় মামলা করে একই এলাকার মনির হোসেন গংদের নামে।ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থানাকে শান্তি শ্রৃখলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য এ এস আই সাইফুল বিবাদীকে ফোন দিয়ে বলে আপনার নামে ওয়ারেন্ট আছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনা হল, কয়েকদিন আগে তাইজুল ইসলাম মনির হোসেনের বাড়ির বিদ্যুতের মিটার ভাংচুর করে এবং হুমকিধমকি দেয় বলে জানা যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করে।

অপরদিকে সুচতুর তাইজুল ইসলামও ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করে এবং থানা থেকে পুলিশ নিয়ে মনির হোসেন গং দের গ্রেফতার করার চেষ্ঠা করে। ফলে থানায় বসে ঘটনা মিমাংসা করার জন্য দুই পক্ষের দুই আইও চেষ্ঠা করছে কিন্তু তাইজুল ইসলাম থানায় হাজির না হয়ে একদিকে কাল ক্ষেপন করে অন্যদিকে  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৪৫ ধারায় মামলা করে  বলে জানায় ভুক্তভোগী। মনির হোসেন গং আরো জানায় যে, তাজুল ইসলাম অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাদের হয়রানী করাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সাহেবের হস্তক্ষেপ কামনা করে ভুক্তভোগী মনির হোসেন গং ।