আশিকুজ্জামানঃ শেষ দিকে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমে আসতে পারে। তার আগে একশো টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি।
শুক্রবার সকালে রংপুরের একটি হোটেলে ইটভাটা মালিকদের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। তবে পেঁয়াজ ১০০ টাকার নিচে পাওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কমবে। তার আগে হয়তো সম্ভব হবে না।’সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর বাংলাদেশে এই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে কেজি ৬০-৭০ টাকা থেকে এক লাফে দেড় শ কাছাকাছি যায়।অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ট্রাকে করে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এরমধ্যে মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আসে।
এসব তৎপরতায় পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বন্ধ হয়ে তা কমতে শুরু করে। এছাড়া দেশে চাষ করা কিছু নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম কিছুটা কমে আসে। তারপরও বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১২০-১৩০ টাকার বিক্রি করতে দেখা যায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে, সেখান থেকে আমদানি করলে দাম কমবে না। মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে পৌঁছলে দাম কিছুটা কমে আসতে পারে।
টিপু মুন্সী বলেন, ‘মিশর থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসার কথা। সেটা আসলেও দাম একটু কমতে পারে বলে মনে হয়। ভারত থেকে আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকি। সেখানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। সেখানেই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। আমাদের দেশে আসার পর তা ১০০ টাকা দর পড়ে যাবে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে আপাতত কোনও লাভ নেই।’
পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।