সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃইজারাদারের নানা অনিয়মের বেড়াজালে দোয়ারাবাজার উপজেলা খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে ভোগান্তির অন্ত নেই। জেলা সদরে যাতায়াতসহ দক্ষিণ পাড়ের তিন ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন সুরমা নদীর ওই খেয়াঘাট পার হয়ে আসতে হয় উপজেলা সদরে। একটি মাত্র ছোট ইঞ্জিন নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাত্যহিক প্রশাসনিক কাজে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাধারণ মানুষসহ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পারাপার হতে হয়। অভিযোগ উঠেছে, খেয়াঘাটে ইজারা নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ভাড়া। যাত্রী পারাপারে যাতে ভোগান্তি না হয় এজন্য খেয়াঘাটে জেলা পরিষদ নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানোর কথা। কিন্তু ইজরারাদার ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করে। এখানে নেই ভাড়ার তালিকা। সাধারণ যাত্রী পারাপারে যেখানে ২ টাকা করে নেয়ার কথা সেখানে প্রতিজন ৫ টাকা করে আদায় করা হয়।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের পারাপার টোল ফ্রি সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও নেয়া হয় টাকা। খেয়া পারাপারে মোটরবাইক প্রতি ১০ টাকার স্থলে ২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ইজারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রিকশা, গরু, ছাগল, ভেড়া পারাপারেও অধিক হারে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন অন্ধকার নেমে আসলেই মোটরসাইকেল পারাপারে ভাড়া তিন গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয় মোটরবাইক প্রতি ভাড়া। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সাধারণ যাত্রী পারাপারেও জনপ্রতি তখন ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। অন্যদিকে উপজেলা সদরের ওই খেয়াঘাটটি প্রতি বছর জেলা পরিষদ হতে ইজারা দেয়া হয়।উপজেলা খেয়াঘাট অধিক লাভজনক হওয়ায় এর ইজারা নিয়েও অভ্যন্তরীণ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। দেখা গেছে, প্রতি বছর দরপত্র আহ্বান করা হলেও শেষমেষ ক্রেতাদের দরপত্র গ্রহণ করা হয় না। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি বছর একই ব্যক্তি খেয়াঘাটের ইজারা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ২৪শে এপ্রিল ২০১২ সালের এক স্মারক মূলে খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদ হতে প্রতি বছর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সমিতি লিমিটেড সুনামগঞ্জ অনুকূলে ইজারা হলেও বাস্তবতায় আজ অবধি ওই সংগঠনের ব্যানারে কেউই খেয়াঘাট ভোগ করতে দেখা যায়নি। প্রতিবছর দরপত্র আহ্বান করেও শেষমেশ স্থানীয় সরকারের ওই স্মারক দেখিয়ে ২০১২ সাল হতে নির্দিষ্ট একক ব্যক্তি ইজারা পেয়ে থাকেন। তবে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সমিতি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তারা চলতি বছর সহ দুই বছর ধরে ইজারাদার হিসেবে রয়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসনসহ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি কামনা করছি আমার চাই ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী টাকা আদর করা হোক,সাধারণ যাত্রী পারাপারে যেখানে ২ টাকা করে নেয়ার কথা সেখানে প্রতিজন ৫ টাকা করে আদায় করা হয়।বিগত ৬ বছর ধরেই ব্যক্তিমালিক হিসেবে ওই খেয়াঘাট ভোগ করছেন মুরাদপুর গ্রামের সমির আলী।আমি আমি চাই যদি ভাড়ার তালিকা না দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয় অতি শীঘ্রই আমি মানববন্ধনের ডাক দিয়ে আন্দোলনে যাব।