আশিকুজ্জামানঃর্যাব-১১ এর অভিযানে ২৪২ বোতল ফেনসিডিলসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাচাঁতে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে রাত ০২.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন বাড়ীমজলিস সাকিনস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত র্যাব-১১ এর চেকপোস্টে সন্ধিগ্ধ পণ্য বোঝাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যান এ তল্লাশী করে ২৪২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ ০৩ মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ জামাল হোসেন (২৮), ২। মোঃ মোস্তাফিজ (৩৮) এবং ৩। মোঃ মিজানুর রহমান (৩১)। তল্লাশীকালে মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত ০১টি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা চট্টগ্রাম হতে কাভার্ড ভ্যানে পণ্য বোঝাই করে ঢাকা যাচ্ছিল। তারা কাভার্ড ভ্যানের ভিতরে পণ্যের আড়ালে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ফেনসিডিল নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করত।
গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, আসামী মোঃ জামাল হোসেন এর বাড়ী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকায়, মোঃ মোস্তাফিজ এর বাড়ী ভোলা জেলার সদর থানাধীন ধর্নিয়া এলাকায় ও মোঃ মিজানুর রহমান এর বাড়ী বরগুনা জেলার তালতলি থানাধীন মরানিদ্রা এলাকায়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিনব পন্থায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরোও স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল বাংলাদেশে প্রবেশ করায় এবং কাভার্ড ভ্যান এ পণ্য পরিবহনের আড়ালে বিশেষ কৌশলে নিয়ে এসে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে। মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।