সময়ের চিন্তাঃ রাজধানীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় পিস্তলসহ আরিফুল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। (২৯ জানুয়ারী) বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় সময় তার কাছ থেকে একটি ২২ বারের বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
সাবেক ছাত্রদল নেতা আরিফুলের (৪৭) বাড়ি বরিশালে। তিনি বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে পরিচয় দিত বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
(৩০ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আরিফুলের বিষয়ে তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, ‘থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে তারা আরিফুলকে শনাক্ত করেন। তার মুখমণ্ডল, জামাকাপড়, জুতা ও হেলমেট দেখে এবং গুলির ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ধারণ করা স্থিরচিত্রের সঙ্গে তার হেলমেটবিহীন ছবি মিলিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল সেদিন গুলি ছোড়ার কথা স্বীকারও করেছে।’
আবদুল বাতেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পাওয়া গুলির খোসা এবং আরিফুলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পিস্তলের ক্যালিবার এবং ৫০ রাউন্ড গুলি একই ধরনের বলে তথ্য দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।’
আগ্নেয়াস্ত্রটি বৈধ কিনা জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, ‘বিষয়টি এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি।তবে বৈধ অস্ত্রও এভাবে প্রদর্শন করা যায় না এবং গুলি করা যায় না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের ধরতে আলাদা কোনো অভিযান হচ্ছে না। তবে নির্বাচন হোক বা না হোক, সন্ত্রাসী হলে পুলিশ সব সময় ধরবে।’
গত রোববার দুপুরে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে এক সংবাদকর্মীসহ ডজনখানেক লোক আহত হন। সে সময় গুলির শব্দও শোনা যায়। ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা হয়। সেই রাতেই পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়।