এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন: অবশেষে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে সাহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ডেকোরেটর মালিক আবুল হোসেন (৪৫) কে ঢাকায় গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (৭ নভেম্বর) ভোর রাতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার জানান, রাজধানীর ভাটারা থানাধীন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার একটি বাসা থেকে আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারীর আলোচিত জুয়েল হত্যা ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার ভুক্ত এক নম্বর আসামি। তিনি আরও বলেন, ‘আবুল হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। তিনি আত্মগোপনে ঢাকায় এসেছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ তাকে লালমনিরহাট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান ওই ডিবি কর্মকর্তা।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার সাথে জড়িত রাজু নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজু জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের মুসরত মদাতী গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে। সে পাটগ্রাম পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং আসবাবপত্র ব্যবসায়ী।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জুয়েল হত্যা ও পুরিয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, গতরাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি ওমর ফারুক জানান, বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ চারজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।