তেল চোর আশরাফের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলায় ওয়ারেন্ট হলেও পুলিশ নিরব

201

নিজস প্রিনিধি ঃ বাংলাদেশ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন গোদনাইল মেঘনা শাখার সভাপতি আশরাফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে হেফাজতের নাশকতার মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি হয়েছে। ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় এই ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। যাত্রাবাড়ি থানার এফআইআর নং-১১৭/৩৮০। গত ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতাল চলাকালে ওইদিন দিবাগত রাতে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় আশরাফ পিতা-বাচ্চু মিয়া, এসওরোড বায়রা বাড়ী, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জকে আসামী করা হয়। যাত্রবাড়ি থানা থেকে ওয়ারেন্টটি তামিল করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। কিন্তু ওয়ারেন্ট ইস্যু হলেও থানা পুলিশ নিরব রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, আশরাফ বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত থাকলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নিজেকে যুবলীগ নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পারেশন (নাসিক) ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতির সেল্টারে রয়েছে।

তারা আরও জানায়, এক সময় মো. আশবাফ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, রনি, মহিউদ্দিন একসাথে বিএনপি’র নেতা সামসু পুলিশের সহযোগি হিসেবে কাজ করতেন। আর এই থানা পুলিশের ছত্রছায়ায় তারা বিভিন্ন কাজ ক্ষমতার বলে করতো। বর্তমানে তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী নেই কারণ তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় ২০১৪ সালের পর মেঘনা ডিপোর দায়িত্ব নিয়েই ডিপোর ইনচার্জ খান নিজামুল করিমের সাথে যোগসাজেসে অনিয়ম করে তেল পাচার করে মোটা অংকের টাকার মালিক হয়েছে মো. আশরাফ উদ্দিন।

এলাকাবাসী আরও জানায়, আশরাফসহ তার সহযোগীরা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে তেলবাহি জাহাজ থেকে রাতের আধারে তেল পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। প্রচুর টাকার মালিক বনে গেছে সে। অথচ গত ১০ বছর আগে সে কত টাকা মালিক ছিল তা তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে। তাই অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী। পাশাপাশি তার এই তেল চোরাই কারবারি বন্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে তেল চোর আশরাফ আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।