২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৮.১ শতাংশ

274

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২১ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬.৯ শতাংশ। আবার ২০২২ সালে এটি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৩ শতাংশ হবে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ বিশে^র অর্থনৈতিক গতিপ্রকৃতির ওপর তাদের মধ্য মেয়াদি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্টে গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত রিপোর্টের কিছু বিষয় পুনর্বার পর্যালোচনা করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২২ সালে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে ভারতের অর্থনীতি। এই প্রবৃদ্ধিকে বিশে^র সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান বৃদ্ধি হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হিসাব রিপোর্টে দেয়া হয়নি। তবে সাউথ এশিয়ার যে প্রবৃদ্ধির হিসাব দেয়া হয়েছে তাতে ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিও ৮ শতাংশের ওপরেই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের রিপোর্ট বলা হয়, কোভিডের প্রথম দফার আক্রমণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় কোভিড পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.১ শতাংশ। এটি ১৯৬৬ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি। চীনের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এই দুই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে কোভিড পরিস্থিতিতে বিশে^র অর্থনীতিতে কিছুটা সুবাতাস লেগেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়। তবে বিশে^র অনেক জায়গায় কোভিডের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ হওয়ায় সার্বিকভাবে মধ্যমেয়াদে বিশে^র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হবে। রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে বিশে^র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২২ সালে এটি হবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের রিপোর্টে আন্তর্জাতিক মূদ্রা তহবিল বৈশি^ক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। রিপোর্টে দক্ষিণ এশিয়া, সাবসাহারা, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয় অঞ্চলগুলোতে কোভিডের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এরজন্য বিশৃংখল শ্রম বাজার, দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, স্যোসাল সেফটিনেটের অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি দীর্ঘদিন কোভিডের দ্বারা আক্রান্ত থাকবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়।
ইউরোপের বিষয়ে রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে ইউরোপের অর্থনীতি খুব একটা উজ্জ্বল থাকবে না। জাপানে ২০২১ সালের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ ধরা হলেও ২০২২ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।

জাতিসংঘের মনিটরিং সেলের প্রধান হামিদ রাশিদি বলেন, কোভিডের কারণে বিশ^ অর্থনৈতিক হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একটিই পথ টিকাকরণ। যত দ্রুত টিকাকরণ হবে অর্থনীতি তত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। অনেক দেশ এখনো টিকার স্বল্পতায় ভুগছে। বিশে^ টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে সবাই টিকার সুবিধা পায়। তিনি বলেন, বিশে^ ৫৪ মিলিয়ন নারী ও বালিকা অতিদরিদ্রের কবলে পড়েছে। কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন নারীরা। তারা চাকরি হারিয়েছেন বেশি। স্কুলে যাওয়া বালিকারা স্কুল ত্যাগ করেছে। উন্নত দেশগুলোতে শিশু জন্মহার কমে গেছে। উন্নত দেশগুলোতে অনিশ্চিত অর্থনীতির কারণে সন্তান নিচ্ছেন না দম্পত্তিরা। জাপান ব্রিটেনসহ বেশ কয়েকটি দেশে জন্মহার নেগেটিভ হয়ে গেছে।