তেলের বাজার নিয়নত্রণ করার জন্য ৪টি সিদ্ধান্ত

231

সম্প্রতি দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তেলের বাজার। ভোজ্যতেলের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে চারটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৯ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো—

১. সব সরবরাহ আদেশে (এসও) প্রাইস লেখা থাকতে হবে। ২. এখন পর্যন্ত যত এসও আছে তা আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে ক্লিয়ার করতে হবে। ৩. তেল কোথাও পাচার হচ্ছে কি না, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খতিয়ে দেখতে হবে। ৪. তেল সরবরাহে ব্যবহৃত ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া, তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে মিল গেটে সরেজমিনে গিয়ে সাপ্লাই, ডেলিভারি, আমদানি ইত্যাদি বিষয়ে পাঠানো তথ্য যাচাই করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার যৌথ টিম। উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৭০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন দর ১ মার্চ কার্যকর হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়। কিন্তু গত ২ মার্চ সচিবালয়ে নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিপণনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। সামনে রমজান মাস। তাই আমরা বলেছি, এখন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো যাবে না। বাণিজ্যমন্ত্রীর দাম না বাড়ানোর নির্দেশের পরও ওই দিন বিকেলেই সয়াবিন তেল ও পামঅয়েলের দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরেক দফা বেড়ে যায়।