সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ওসি পরিচয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোনারগাঁ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন।
থানায় দায়ের করা সাধারন ডায়েরীতে ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের বাসিন্দা। তার সঙ্গে প্রতিবেশী বেলজিয়াম প্রবাসী সুলতানা আক্তার সীমার সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ৭ মার্চ সোনারগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপন আমার প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে নিজেকে থানার তদন্ত ওসি পরিচয়ে হুমকি ধামকি দেন, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চাদাঁ দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কাউন্সিলর নাঈম আহাম্মেদ রিপন নিজেকে ওসি পরিচয়ে কাউকে হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সোনারগাঁ পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আতিকুর রাহমান, পিতা মৃতঃ সফিকুল ইসলাম এর জমি নিজ ছোট বোন অবৈধভাবে দখল করে বিল্ডিং উঠানোর অভিযোগ উঠেছে। আতিকুর রহমান জানান, মৃত রফিকুল ইসলাম আমার বাবা আমরা তিন ভাই ও ছয়টি বোন। আমার বাবার মৃত্যুর পূর্বে আমাকে ৭ শতাংশ ৫০ পয়েন্ট জায়গা সাফ কলমে লিখে দিয়েছেন।কিন্তু এই জায়গার ১ শতাংশ ৫৪ পয়েন্ট আমার ছোট বোন সুলতানা আক্তার সিমা (বেলজিয়াম প্রবাসী) এবং আমার বড় বোনের স্বামী খুনের আসামি সুলতান ও তার ছোট ছেলে ফাহাদসহ এলাকার এবং বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী আমার এই বাড়ির জমি অবৈধ ভাবে দখল করে বিল্ডিং উঠিয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, এই ঘটনায় পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পৌরসভার মেয়র এই ব্যাপারে একাধিক বার বিচার সালিশ করেন ও ছিলগালা করে বিল্ডিং এর কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
রিপন কমিশনার ও খুনের আসামি সুলতানের সন্ত্রাস বাহিনী উক্ত সিলগালা না মেনে বিল্ডিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাতে তাহার সঠিক বিচার হয়নি বলে তিনি সোনারগাঁ থানায় বিষয়টি জানান। তাতেও ছোট বোন সুলতানা আক্তার সিমার সন্ত্রাসী বাহিনী অবৈধভাবে বিল্ডিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সুলতানা আক্তার সিমার নামে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন।কিন্তু কাউন্সিলর রিপন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষের পক্ষে কাজ করছেন।