ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্রের সাথে ৪র্থবারের মতো পালিয়ে গেল সুমাইয়া

271

সফিকুল ইসলাম ইমামঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামের মোস্তফা কামালের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী চতুর্থ বারের মতো একই ইউনিয়নের ফুল বাড়ীয়া গ্রামের মৃত সূরুজ মিয়ার ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্র মোঃ সাজিদের হাত ধরে পালিয়ে গেছে।

গত ৩০ নভেম্বর সকালে মেয়ের পরীক্ষার জন্য রিক্সায় করে মোস্তফা কামানের স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে মোগড়াপাড়া এইচ জি জি এস সরকারি বিদ্যানিকেতনের সামনে নেমে রিক্সায় ভাড়া পরিশোধ কালে মেয়ে সুমাইয়া আক্তার লিয়ন দৌড়ে গিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রাখা সিএনজিতে করে মৃত সূরুজ মিয়ার ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কলেজ ছাত্র সাজিদের সঙ্গে চতুর্থ বারের মতো স্ব-ইচ্ছায় পালিয়ে যায়।

সুমাইয়া আক্তার লিয়ন একা দৌড়ে গিয়ে সিএনজিতে ওঠে পালিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায় সুমাইয়া আক্তার লিয়ন  স্কুল ড্রেস পরে হাতে ফাইল নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, এসময় মা সুলতানা আক্তার তার পিছু নিয়ে এবং তার নাম ধরে ডাকতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে ৬  ডিসেম্বর চারজনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দায়ের করেন।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামাল তার মামলায় ঘটনার সহিত জড়িত নয় এমন ব্যক্তিকেও আসামী করেন। যার প্রেক্ষিতে তাদের পরিবার পরিজন হয়রানীর শিকার হচ্ছে এবং অত্যন্ত অসহায় ও আতঙ্কিত অবস্থায় দিন যাপন করছে।

জানা যায়, ইতিপূর্বে সুমাইয়া আক্তার লিয়ন ও সাজিদ একে একে তিনবার পালিয়ে যায়। তিনবারই সুমাইয়া ছেলে সাজিদের বাড়িতে চলে যায়।

সর্বশেষ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মোস্তফা কামাল নিলুর মিয়ার বাড়িতে বসে 

 উভয় পরিবার ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতে আলোচনার মাধ্যমে সুমাইয়াকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়। এবং তিনমাস পর সামাজিকভাবে অনুষ্ঠান করে তার মেয়েকে সাজিদের সঙ্গে বিয়ে দিবেন বলে মোস্তফা কামাল তার মেয়ে ও সাজিদের পরিবার ও উপস্থিতদের আশ্বস্ত করেন। 

তার পূর্বে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল নোটারীর মাধ্যমে তারা কোর্ট ম্যারেজ করে। নোটারীতে ২০ জুলাই ২০০৩ হন তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করেন সুমাইয়া আক্তার লিয়ন। সেই হিসেবে সুমাইয়া আক্তার  সাবালিকা।