মশার অত্যাচারে সোনারাগাঁবাসী অতিষ্ঠ

119


মোঃ মোক্তার হোসাইন:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মশার অত্যাচারে বাসায় থাকা দুষ্কর হয়ে গেছে।
দিন দিন বেড়েই চলেছে মশার অত্যাচার, এই মশার অত্যাচারে জনজীবন অতিস্ট যাচ্ছে কোথাও বসলে শরীরে মশা জেঁকে বসে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাঝেমধ্যে যে মশার ওষুধ ছিটায় তার মান ভালো না। এর কারণে কোনো কাজ হয় না।

এদিকে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকায় মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ রক্ত চুষে খাওয়া মশার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে দেখা গেছে।

সোনারগাঁ বৈদ্দ্যের বাজার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে ১,২,৩নং ওয়ার্ডের রামগঞ্জ, সাতভাইয়া পাড়া,হাড়িয়া চৌধুরি পাড়া,হাড়িয়া গোবিন্দি,সোনামহীসহ গাবতলি গ্রামবাসী বলেন, প্রতি বছরই নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কিউলেক্স মশার বিস্তার বাড়ে। বিশেষ করে অত্র এলাকার কোম্পানি ও ফ্যাক্টরির বিষাক্ত কালো ধোয়া, কালো ও দূষিত পানি ডোবা, খাল, নালা ও ঝিল জন্ম নেওয়া মশার উৎপাত বেড়ে গেছে।

এবছরও কিউলেক্স মশার প্রকোপ অনেক বেশি। এখনই জরুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে মার্চ পর্যন্ত এই মশা সোনারগাঁয়ের মানুষ কে ভোগাবে। বাসাবাড়ি কোথাও এখন নিরাপদ নয়। মশার কামড়ের জন্য মানুষ বাইরে দাঁড়াতে পারে না।

সোনারগাঁয়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করে প্রতিটি মহল্লার নর্দমা, খাল ও ডোবায় অভিযান পরিচালনা করলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া যেসব ডোবা, নর্দমা আছে সেখানে ৭ দিন পর পর কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে মশা কমে আসবে। খালগুলোতে গাপ্তি মাছ ও বিটিআই ব্যাকটেরিয়া ছাড়লে মশার লার্ভা বিনষ্ট হয়ে যাবে। এতে গ্রামবাসী অনেক বেশি উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ বৈদ্দ্যের বাজার ইউনিয়ন পেনেল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ৩নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন বাবু মেম্বার বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক ভাবে মশক নিধন ঔষধের কোন ব্যবস্থা আপাতত নেই , তবে আগামী আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে আমরা এ বিষয়টি উত্থাপন করব। যদি উপজেলা থেকে কোন ব্যবস্থা হয় তা ইউনিয়নবাসী উপকৃত হবে।