না:গঞ্জ ডিবির এসআইদের আটক বাণিজ্যে

162

সময়ের চিন্তা রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ৩ জন উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া যায়। নিরীহ ৪ ব্যক্তিকে ধরে নারায়ণগঞ্জ ডিবি কার্যলয়ে নিয়ে আটকে রেখে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের  উৎকোচ আদায় করে ৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে বলে ভূক্তভোগীরা জানায়।

বন্দর এলাকার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক-লীগের সহ-সভাপতি শাওন জানায়, “জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান, শামিম ও আশিক এমরান  ৪ মার্চ রাতে মাটি কাটার সময় বন্দরের লক্ষণখোলা সোম্বাইরা বাজার এলাকা থেকে রাহাত, শহিদুল, ইমরান ও আমাকে আটক করেন। পরে নাম্বার বিহীন একটি হায়েজ গাড়িতে উঠিয়ে ঘন্টাখানেক বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করেন।”

শাওন আরো জানায়,”ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখায়। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক টেন্ডারের মাধ্যমে মাটি কাটার অনুমোদিত কাগজপত্র দেখানোর পরও তারা টাকা দাবিতে অনর থাকে। নিরুপায় হয়ে মিথ্যা মামলার ভয়ে ঐ ৩ জন উপ-পরিদর্শককে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেই। তারপরও আমাদেরকে ফৌজধারী কার্যবিধির ৫১ ধারায় মামলা দিয়ে ৫ মার্চ দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন। ঐ দিনই আমরা আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পাই।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উৎকোচ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ডিবির উপ- পরিদর্শক আশিক এমরান বলে, “মাটি নিয়ে দুপক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে আটক করি। পরে তাদের ৫১ ধারায় আদালতে পাঠাই।“

এ বিষয়ে এস আই শামীম সাংবাদিকদের সাথে অশোভ আচরন করে বলে,” সোনারগাঁ মার্ডার হওয়া থেকে কি এটা বেশি গ্রুত্বপুর্ন, আপনারা কি গন্ধ পেয়ে চলে আসেন সুবিধা নেওয়ার জন্য। নিউজ করার আগে আসেন না কেন? নিউজ তো করেই ফেলেছেন। আপনারা যে কি চিচ আমার জানা আছে।“

এ বিষয়ে এস আই কাম্রুজ্জামান  সাংবাদিকদের বলে,” আমরা আমাদের  আল-মামুন স্যারকে জানিয়ে গিয়েছি। স্যারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছি।”

জেলা গোয়েন্দা শাখার (বন্দর-সোনারগাওঁ) এলাকার পরিদর্শক আব্দুল আল মামুন বলেন, সরকারি মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার সময় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিবি  তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমি ছুটিতে আছি বিষয়টি আমার জানা নেই। আটকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।“

এ ব্যাপারে এসপি গোলাম মোস্তফা  রাসেলকে কল করলে তিনি কল ধরেন নাই।