হকার ইস্যুতে সেলিম ওসমানের খোলা চিঠি

56

সময়ের চিন্তা রিপোর্টঃ হকারদের ইস্যুতে খোলা চিঠি লিখেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান।

২৪ মার্চ রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিম ওসমান’স সার্পোটার ফোরাম নামক ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত ঐ চিঠিটি বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে বলে জানা যায়।
ঐ চিঠিটি পাঠকের সুবিধার্থে হুবাহু নীচে তুলে ধরা হলঃ

‘আমি সত্যিই হতবাক যে নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনুরোধে যানজট ও হকার সমস্যা সমাধানে অনুষ্ঠিত সভার প্রেক্ষিতে আমরা হকারদেরকে নবাব সলিমুল্লাহ রোডে একটা জায়গা নির্ধারন করে দেই, যেখানে সপ্তাহে পাঁচদিন রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে ও দুই দিন হলিডে মার্কেটের আদলে একপাশের পুরো রাস্তা জুড়ে বসার ব্যবস্থা করে দেই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে অসুস্থ্য শরীরেই বর্তমানে আমি পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিআরবে অবস্থান করছি এবং এই সুযোগে কতিপয় হকাররা আবারও বঙ্গবন্ধু রোড, সিরাজদৌলা রোড, মীর জুমলা রোড, কালিবাজার পুরান কোর্ট রাস্তাসহ ২ নং রেল গেট থেকে আইএফআইসি ব্যাংক পর্যন্ত নতুন করে বিচ্ছিন্নভাবে ফুটপাত দখল করে বসা শুরু করেছে। নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবের বৈঠকে অভিযোগ করা হয় নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান হকার সমস্যার সমাধান চান না। এমন অভিযোগ করা হয় দায়ী করা ছোট ভাই হকার বসাবে আর বড় ভাই উঠাবে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামীম ওসমান কথা দেন সবাই একমত হলে নারায়ণগঞ্জের কোথাও ফুটপাত দখল করে হকার বসবে না যদি সবাই সহায়তা করেন। অতঃপর নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং ফুটপাত হকারমুক্ত করা হয়। আসন্ন ঈদকে মাথায় রেখে হকারদের স্বার্থে ঈদের আগ পর্যন্ত হকারদের অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয় এবং ঈদের পরে ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনা করা হবে মর্মে হকারদের অঙ্গিকারনামার ভিত্তিতে নবাব সলিমুল্লাহ রোডে তাদের বসার উদ্যোগ নেয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না এবং শওকত হোসেন শকু হকার ইস্যুতে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।
নতুন করে বঙ্গবন্ধু রোড, সিরাজদৌলা রোড, মীর জুমলা রোড, কালিবাজার পুরান কোর্ট রাস্তাসহ ২ নং রেল গেট থেকে আইএফআইসি ব্যাংক পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ফুটপাত দখল করে বসা শুরু করেছে এই ব্যপারে আমার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসা শুরু করেছে। শামীম ওসমান এমপি, মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, ডিসি, এসপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা যখন হকার ইস্যুতে আমার সাথে একমত হলেন তখন কোন পেশীশক্তির জোড়ে আবার নতুন করে হকাররা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে? কে বা কারা এখানে কলকাঠি নাড়ছে? কেন সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কাউন্সিলররা এই উদ্যোগে এগিয়ে আসলেন না? প্রশাসন কেন তাদের নির্ধারিত স্থানের বাইরে নতুন করে বসতে দিচ্ছে? শহরবাসী কেন চোর-পুসিশের খেলা দেখছেন? নারায়নগঞ্জ বাসীর কাছে অনুরোধ, এই সুন্দর পরিবেশ যেন কোন অবস্থায় নষ্ট না হয়। মেয়র মহাদয় আপনি কি প্রশাসনের সাথে কথা বলেছেন এই বিষয়ে? পরিশেষে বলতে চাই, যানজট নিরসনে বাস ট্রাক মালিক শ্রমিকরা সহযোগীতা করছে বলে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং আরো সহযোগীতা কামনা করি। তবে হকার ইস্যুতে আবার নতুন করে যে নৈরাজ্য তৈরির অপচেষ্টা হচ্ছে সেটাকে আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করি। এবার সময় হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সর্বোস্তরের জনগনের এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আপনাদের স্বার্থেই সোচ্চার হবার এবং প্রতিবাদ জানানোর।’

প্রতিবেদক নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক  ও পুলিশ সুপারকে তাদের ব্যবহিত মোবাইলে কল করলে কেউ কল ধরেন নি। তাদের  ব্যবহিত হোয়াটস আপে ক্ষুদে মেসেজ পাঠিয়েও কোণ জবাব পাওয়া যায়নি।