বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ

51

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নাটোরের গোপালপুরে বিয়ের প্রলোভনে ১৮ বছরের এক তরুণীকে ৬মাস ধরে ধর্ষণ করেন মোঃ মেহেদী হাসান আপন। ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি প্রদান করেছেন ধর্ষকের পরিবার এমনই অভিযোগ ধর্ষিতা ঐ তরুণীর।

ধর্ষক মেহেদী হাসান আপন পাবনা জেলার ঈশ্বরদী জয়নগর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মৃত নাইট কাদেরের ভাতিজা ও মোঃ আব্দুল গনির ছেলে।

এই বিষয়ে ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে ঈশ্বরদী থানায় বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,

ধর্ষিতা ঐ তরুণী ঢাকার একটি সপিং সেন্টারে সেলস্ম্যানের চাকুরী করেন। তার সাথে ফেসবুকে আপন এর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে আপনের সাথে গত প্রায় ০৬ মাস পূর্বে ঈশ্বরদী থানাধীন জয়নগর স্বপ্ন দ্বীপ রিসোর্টে দেখা হয়। উভয়ের মধ্যে প্রেম ভলোবাসার সুত্র ধরে বিবাহের প্রলোভন ও বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে দিনের পর দিন স্বপ্ন দ্বীপ রিসোর্টে শারীরিক মেলামশো করেন। এক পর্যায়ে আপনকে বিবাহ করার কথা বলিলে গত ইং ২৪শে মার্চ রাজশাহী বিজ্ঞ আদালতে উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

বিবাহ হওয়া পরে, ঐ তরুণী দেড় মাসের গর্ভবতী, তাহা ধর্ষক মেহেদী হাসান আপনকে জানালে আপন সহ তাহার ভাবি মোছাঃ রুমা মাহমুদ (৩৩), স্বামী-মোঃ মিনার মাহমুদ, ঐ তরুণীকে ইং০৭ই এপ্রিল বিকাল অনুমান ৫:০০ ঘটিকার সময় ঈশ্বরদী পূর্ব টেংরী হাসপাতাল রোড আলো জেনারেল হাসপাতালে দেখা করতে বলে। তরুণী সরল
মনে উক্ত হাসপাতালে আপন ও তার ভাবির সহিত দেখা করিলে ঐ তরুণীকে আল্ট্রাস্নো করার পরে দেখে তার গর্ভে দেড় মাসের সন্তান, তখন ধর্ষক মেহেদী হাসান আপন ও তার ভাবি ধর্ষিতা ঐ তরুণীকে হুমকী ধামকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভনাশক ঔষধ সেবন করিয়ে গর্ভের সন্তানকে গর্ভপাত ঘটায়। আপনের সাথে সম্পর্ক ও বিবাহের কথা অস্বিকার করেন।

এই বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মোঃ মনিরুল ইসলাম
বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলাটি তদন্ত চলছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।