নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই একদল লোক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ ও সুপরিচিত নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এক প্রতিমন্ত্রী, দুই সংসদ সদস্য, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক কাউন্সিলরের বাসায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
ভাংচুরের পাশাপাশি প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ (সদর ও নগর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আবদুল মোমেন, সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনের সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবনগুলোতেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খানের বাড়িতেও হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের শ্বশুরবাড়িতেও হামলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্দলীয় হওয়া সত্ত্বেও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমেদের বাড়িতেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের ফার্মেসি ভাঙচুর ও লুটপাটের পর সম্পূর্ণ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সিলেট শহরের বড় ফার্মেসিগুলোর মধ্যে এই দুটি ফার্মেসি ছিল।
দেখা যায়, গতকাল ৬ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা ১ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং গতকাল সোমবার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং চেতনা ৭১ ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. জাকির হোসের খানের সাথে। জানা যায়, থানা, ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশও অরক্ষিত অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় অন্যান্য স্থানে নিরাপত্তা দেওয়া সংগত কারণেই পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তবে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সরকারি যেসব স্থাপনা ভাঙচুরের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে, সেসব তো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এ সম্পদ তো জনগণেরই। তাই জনগণকেই এসব সম্পদ রক্ষা করতে হবে।