বাংলাদেশ ভারত ও ভুটানের মধ্যে বানিজ্য ট্রেডের নবযাত্রার সূচনা

1066

স্টাফ রিপোর্টারঃ ভুটান থেকে ভারত হয়ে নদীপথে বাংলাদেশে পাথর আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভারত ও ভুটানের মধ্যে বানিজ্য ট্রেডের নবযাত্রার সূচনা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা শিল্পাঞ্চলের বসুন্ধরায় বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে এ ট্রেডের সূচনা করা হয়।
প্রথমবারের মত ভুটান থেকে পাথরবাহী একটি ভারতীয় জাহাজ ধুবরি থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এ উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে ইন্দো বাংলা রুট ব্যবহার করে আসা প্রথম চালানটি গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলাম।
তিনি বলেন, এটি আমাদের যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে, দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াবে এবং আমাদের জাতিগত সংযোগ ও সম্পর্ক বাড়াতে সহায়তা করবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমাদের স্বাধীনতার পর আবারো এই নদীপথের ট্রানজিট সুবিধা চালু হয়েছিল। নদীপথের মাধ্যমে আমাদের দক্ষিন এশিয়ার বানিজ্য যোগাযোগ বাড়ানো ও আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব।
তিনি বলেন, ড্রেজিং এবং নদীপথের অন্যান্য কার্যক্রমে বসুন্ধরা আমাদের ভালো অংশীদার। তারা খুবই আন্তরিক। নদীপথের যেকোন সমস্যা সমাধানে সব সময় বিআইডব্লিউটিএ প্রস্তুত এবং একসাথে কাজ করলে যেকোন সমস্যা সমাধান সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বের তৃতীয় ও দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় আছি বর্তমান সরকারের সময়। আমাদের বর্তমান লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়া। বিআইডব্লিউটিএ নদী ড্রেজিং করছে ফলে নদীপথে কার্গো আমদানিতে আমাদের সমস্যা নেই। আমরা আশুগঞ্জ চিলমারী ও অন্যান্য পোর্ট উন্নয়নে বিশেষভাবে কাজ করছি। ত্রিপুরা থেকে কার্গো আশুগঞ্জ আসতে কোন সমস্যা হচ্ছেনা, আমরা সাগরপথ ও গোমতী নদীতে আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের নদীপথের উন্নয়নে বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে।
ভারতের হাই কমিশনার শ্রীমতি রীভা গাঙ্গুলি দাশ তার বক্তব্যে বলেন, ভুটান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে নদীপথে পাথর আমদানি দেশ তিনটির ট্রেডের এক নবসূচনা। এতে তিন দেশের সম্পর্কে আরো উন্নতি ঘটবে।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম টি রাবগি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এতে ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশ একদিকে উপকৃত হবে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি হবে। এমনকি পরিবহন ও অন্যান্য খরচও কমবে। নদীপথে পরিবহন একটি পরিবেশবান্ধব উপায়ও।