বন্দরে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ১

300

আশিকুজ্জামান, সময়ের চিন্তা ডত কমঃ র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে ০১ জন গ্রেফতার করে। র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে র‌্যাব-১১ এর দায়িত্বপূর্ন এলাকায় চাঁদাবাজি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। উক্ত অপরাধ দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব-১১ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ নভে¤¦র ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দিবাগত রাতে র‌্যাব-১১, সিপিএসসি এর বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ টিউশন রোড়স্থ পাঁকা রাস্তার উপর পরিবহনে চাঁদাবাজি করার সময় চাঁদাবাজ মোঃ সুমন (৩৪)’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির রশিদ ও  চাঁদাবাজির নগদ ১,৫০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

উপস্থিত স্বাক্ষী, পরিবহন শ্রমিক ও গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ এলাকায় রাস্তায় চলাচলরত বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিক্সা চালকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক গাড়ী প্রতি ১০০/- থেকে ৩০০/- টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। কোন বাস,  ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিক্সা চালক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন উক্ত চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় হাজী মোঃ গোলাম হোসেন নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি মে ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে নবীগঞ্জ বেবী/টেম্পু স্ট্যান্ড এর ইজারা নেয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ইজারার তালিকায় নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডটি মূলত বেবী/টেম্পু স্ট্যান্ড হিসেবে উলে­খ রয়েছে।  নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উক্ত ইজারায় ১২ নং শর্তে স্পষ্ট উলে­খ রয়েছে বেবী/টেম্পু/টেক্সী পার্কিং ফি দৈনিক ১৫/- টাকা। কিন্তু উক্ত চাঁদাবাজ চক্র সিটি কর্পোরেশনের ইজারার অপব্যবহার করে নিয়মবহিভূত ভাবে ভুয়া রসিদ ছাপিয়ে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। এভাবে এই চাঁদাবাজ চক্র এই ইজারাদারের ছত্রছায়ায় রাস্তায় চলাচলরত বাস, ট্রাক, মাইক্রো ও কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে জোরপূর্বক ভয়ভীতি এমনকি মারধর করে ১০০/- টাকা থেকে ৩০০/- টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছে যা স্থানীয় মিডিয়ায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। র‌্যাব-১১, সিপিএসসি এর অনুসন্ধানে চাঁদাবাজি সংক্রান্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য গত ৩০ নভেম্বর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়কালে উপরোক্ত চাঁদাবাজ মোঃ সুমনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে। চাঁদাবাজি বন্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।