১২নং ওয়ার্ডের গঞ্জে আলী খাল ফের দখলের চেষ্টা,গুড়িয়ে দিল কাউন্সিলর শকু

223

স্টাফ রি‌পোর্টার: নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের তল্লা রেললাইনে গঞ্জে আলী খাল পুনঃখননের জন্য উচ্ছেদের ২৪ ঘন্টা অতিক্রম না হতেই ফের দখলের চেষ্টা চালিয়েছে দখলদাররা। এমন সংবাদে সেই সিমেন্টের খাম-খুটি’র স্থান ও দোকানপাট গুড়িয়ে দিয়েছে কাউন্সিলর শওকত হাসেমের নেতৃত্বে নাসিকের উচ্ছেদ টিম।

৩০ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় খানপুর তল্লা রেললাইনে খাল পুনঃখনন কাজের মধ্যে ফের দখলের স্থানগুলো উচ্ছেদ চালানো হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ১২নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে উত্তর চাষাড়া মাঊরাপট্টি থেকে তল্লা বড় মসজিদ এলাকা পর্যন্ত গঞ্জে আলী খাল পুনঃখননের জন্য রোববার সকাল থেকে শুরু হয়। খালটি পুনঃখননের জন্য এলাকাবাসী সহ আশেপাশে এলাকার জনসাধারণ নাসিক ও কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু’কে সমর্থন দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন জানিয়েছে ওয়ার্ডবাসী। সোমবার সন্ধ্যা পর থেকে তল্লা রেললাইনের পাশে স্বেচ্ছায় উচ্ছেদের জন্য সময় নেয়া একটি হোটেলের পিছনে ১২টি সিমেন্টে খাম খুটি ঘাটে আব্বাস নামক দখলদারের লোকজন।

এমন তা খবর মঙ্গলবার সকাল থেকে দখলের ছড়িয়ে পড়লে, আব্বাস ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে।

আব্বাস জানান, জায়গাটি মহব্বত হাজীর, তিনি তার জায়গা খাম-খুটি লাগিয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর কাছে জায়গা কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আব্বাস।

এদিকে কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেন, গঞ্জে আলী খালটি পুনঃখননের জন্য ২৪ ঘন্টায় এই স্থান অবমুক্ত করে যায়। সেই ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে ফের খালটি দখলে সিমেন্ট খাম খুটি লাগিয়ে ফেলেছে। সোমবার সন্ধ্যায় যখন উচ্ছেদ ও খাল পুনঃখননের শেষে চলে যায়, তখন ফের দখলে সিমেন্টে খাম খুটি লাগানো হয়। এ খবরটি নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জানালে, তিনি খালটি পুনঃখননের জন্য সকল দখলকৃত দোকানপাট উচ্ছেদের নিদের্শ দেন। এ জন্য মঙ্গলবার ফের দখলের দোকানপাট ও খাম-খুটি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই খালটি দখলমুক্ত রাখার জন্য ওয়ার্ডবাসী সহযোগিতা চাই।

তিনি আরো বলেন, এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেই আমাকে বা নাসিক কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করে ভুক্তভোগীরা। তাদের এমন ভোগান্তি থেকে রক্ষা করতে সকলের একসাথে খালটি উদ্ধারে কাজ করে যেতে হবে। গঞ্জে আলী খালটি কখনো নালা করা যাবে না। যে যত বড় দখলবাজ হোক, খাল পুনঃখননে কোন দখলের সুযোগ থাকবে না। আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, খানপুরবাসী সংগঠনের জাহাঙ্গীর কবির পোকন ও সামসুজ্জামান ভাষানী সকল মুরব্বী যুবকরা।