শহরের নামিদামী বেকারিতে ভেজাল খাদ্য তৈরি, চার লাক্ষ টাকা জরিমানা

515

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের নামিদামী বেকারিতে ভেজাল খাদ্য তৈরির খবর পেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সেলিম উজ্জামানের নেতৃত্বে ভাম্রমান আদালত পরিচালিত হয়। ভেজাল কেমিক্যাল দিয়ে খাদ্য উৎপাদন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে সুগন্ধা বেকারিকে ৪,০০,০০০ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।

১৪ জুলায় মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর গলাচিপা এলাকায় বেকারির কারখানায় এনএসআই এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। কারখানাটির গুদামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ণ শেমাই ও বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত ভেজাল কেমিক্যালসহ এসব মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে নানা অনিয়ম ও অপরাধের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত কারখানার মালিককে চার লক্ষ টাকা জরিমানা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সেলিম উজ্জামান জানান, ভেজাল কেমিক্যাল দিয়ে উৎপাদিত এসব খাবার জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি মোড়কের গায়ে লেখা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামেও বিক্রি করা হত। এসব নানা কারণে কারখানাটিকে চার লাক্ষ টাকা জরিমানা করে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যেন ভবিষতে এমন না করে।

এ ব্যাপারে সুগন্ধা বেকারীর মালিক হককে তার মোবাইলে কল করলে তিনি কল ধরেননি।

জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ বলেন, এমন অভিজাত শ্রেনীর বেকারিতে যদি ভেজাল খাদ্য তৈরি করে তাহলে মানুষ বাচবে কি করে। ভেজালকারীকে জরিমানার সাথে জেল দেয়া হলে উপযুক্ত শাস্তি হত। দেশে শাস্তির বিধান কড়া নাই বলে দোষীরা অন্যায় করে পার পেয়ে যায়।তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের আরও বেশী বেশী অভিযান চালাতে ও শাস্তি হিসাবে জেল জরিমানা উভয় দন্ডেদন্ডিত করার আহবান জানান।