ইউসুফ আলী প্রধানঃ ফুটবল বা ক্রিকেটের যেকোন খেলায় চায়ের দোকান কিংবা হোটেলে নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য নানা শ্রেণীপেশার মানুষ জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।
ভাসমান এই জুয়ার আসরে বিশেষ করে যুবকদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। বলে জুয়া বা গোলে গোলে জুয়ার এ রমরমা বানিজ্যে প্রতিদিন দেশে কোটি কোটি টাকা আদান প্রদান হয়।
শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে পারার চায়ের দোকানে পর্যন্ত চলছে ভাসমান জুয়ার রমরমা বানিজ্য। জুয়ার কবলে পরে পরিবারের একজন বিপদগামীর জন্য গোটা পরিবারই পথের বসছে সবকিছু হারিয়ে। আমরা কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি, পরিবারের ছোট কিংবা বড় যেকোন একজন বিপদগামী জুয়া জড়িয়ে নিঃস্ব করে দিচ্ছে পুরো পরিবারকে।
এসব ভ্রাম্যমান জুয়ার আসর এভাবে চলতে থাকলে একসময়ে বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে পৌছবে? সোনার বাংলার দামাল ছেলেদের ভ্রাম্যমান জুয়ার আসর থেকে ফিরিয়ে আনা না গেলে দেশে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে এবং অর্থনীতিতে এর মাশুল গুণতে হবে দেশকেই।
তাই এখনই সময় সচেতন হবার, যুবকদের জুয়ার আসর থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন এখনই পদক্ষেপ। বন্ধ হোক ভ্রাম্যমান জুয়ার আসর। ভালো থাকুক বাংলার যুব সমাজ। এবিষয়ে সামাজিক সংগঠন মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম মান্নান ভূঁইয়া বলেন
বর্তমানে সামাজিক অবক্ষয় বৃদ্ধি পেয়েছে। জুয়া খেলার কারণে পারিবারিক কলহ ভয়ানক আকার দারন করেছে। অনেকের সুখের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এজন্য পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা জরুরী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে আরো তৎপর হলে অনেক পরিবার বেঁচে যাবে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুউদ্দিন ভূইয়া এ বিষয়ে বলেন আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এতটুক বলেই ফোন কেটে দেন।