করোনা শঙ্কা নিয়েই লাখো মানুষের ঈদ যাত্রা, পরিবহনের মানা হচ্ছেনা স্বাস্থবিধি, শপিংমলে মানবস্রোত

233

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৬ মে পর্যন্ত চলমান এই লকডাউন কার্যত কেউই মানছেন না। নানা কৌশলে দূরপাল্লার যান চলাচল করছে। আর চোখের সামনে দিয়েই যাত্রীরা বড় বড় ব্যাগ, লাগেজ নিয়ে চলাচল করছে।

জনস্রোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো সুযোগই নেই। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফেরিঘাটগুলোতে ঘরমুখী হাজার হাজার মানুষ। আর এসবই হচ্ছে প্রকাশ্যে। চলছে আন্তঃজেলা বাসও। রাজধানীর রাস্তাঘাট, শপিংমল, কাঁচাবাজার, সুপারশপ এমনকি রেস্তোরাতেও প্রচন্ড ভীড়। গণপরিবহনে ভাড়া বেশি আদায় করা হলে কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই। থুতনিতে কোনোরকম মাস্ক লাগিয়ে ঘুরছে মানুষ। নামমাত্র মেজিস্ট্রেট কোর্ট পরিচালনা করছে।

(০৭ মে) শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথ ছিলো যাত্রী ও যানবাহনের প্রচন্ড চাপ। ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে ঘাট কর্তৃপক্ষকে। ছিলো না স্বাস্থ্যবিধি। একই চিত্র রাজধানীর বাসটার্মিনাল গুলোরও। এক জেলা থেকে অন্য জেলার সীমানা পর্যন্ত পৌছে দিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছে অনেক যাত্রী। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষারত জামিলের বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও যেতেই হবে কারণ ঈদ, একা ঢাকায় থাকতে পারব না। ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা উপেক্ষা করে প্রায় ৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়েই বাড়ি যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনা ভাইলাস অত্যন্ত ছোঁয়াছে। যেখানে জনসমাগম হবে সেখানেই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি। বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট, শপিংমলগুলোতে মানুষের অবাধ চলাফেরায় তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, সংক্রমণ রোধে সরকারের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে জনগণ ধারণ করতে পারেনি। সরকারের প্রত্যাশার উল্টো কাজ করেছে। এক্ষেত্রে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। যারা গ্রারেম যাচ্ছে তারা পথে পথে ছড়াতে ছড়াতে যাবে এবং গ্রামেও করোনা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে যাবে।