সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ থানা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে কোণ ব্যবস্থা না নেয়ায় সাংবাদিক মোক্তার হোসেনের ছোট বোন ইয়াসমিন আক্তারকে হত্যা করেছে প্রতারক সাইফুল। সোনারগাঁ থানার বৈদ্যের বাজার ইউপির সাতভাইয়া পাড়া নিবাসী নুরুল ইসলামের মেয়ে ইয়াসমিন প্রতারনার স্বীকার হয়ে প্রতারক সাইফুলের হাতে খুন হয়।
নুরুল ইসলামের ছেলে সাংবাদিক মোক্তার হোসেন জানায়, প্রেমের ফাদে ফেলে, প্রতারণা ও ছলনা করে ১৫ লক্ষ টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়ে আত্নস্বাদ করে এই ভন্ড প্রতারক সাইফুল।মৃত ইয়াস্মিন বিবাহিতা এবং তার স্বামী ১৮ বছর ধরে সৌদি আরব প্রাবাসে বসবাস করে। স্বামীর পাঠানো টাকাই ইয়াসমিন প্রতারক সাইফুলের মিথ্যা প্রেমের ফাদে পড়ে তার ছলনায় দিতে বাধ্য হয়।
বিগত ৬/৭ বছর ধরে সোনারগায়ের বৈদ্যের বাজার ডাঃ দিলীপ কুমারের ঔষদের দোকানে সাইফুল কাজ করত।আর ঔষধ কেনার সুবাদে পরিচয় হয় তাদের। প্রতারক সাইফুল কৌশলে ইয়াসমিনের মোবাইল নাম্বার হাতিয়ে নেয় এবং অবৈধ্য প্রেমের সম্পর্ক ঘরে তোলে। এই ঘটনা জানার পর ইয়াসমিনের বড় ভাই সাংবাদিক মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করে।যার নং ১৩১০ তারিখ ১৭/৭/২১ ইং। সাংবাদিক মোক্তার জানায়, অভিযোগের পর অনেক দফা এস আই ইয়াউর এবং ওসির সাথে কথা হয় কিন্তু তারা কোণ সুব্যবস্থা নেয় নাই। যদি ব্যবস্থা নিত তাহলে আমার বোণ আজ হত্যার স্বীকার হত না। তিনি আরো বলেন, সোনারগাঁ থানা পুলিশ আমার কাছ থেকে কোণ অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে সাইফুলের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা পেয়ে আমার অভিযোগের ভিত্তিতে কোণ ব্যবস্থা নেয় নাই।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, সাইফুল গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইয়াসমিনকে কোন এক কাজি অফিসে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে কিন্তু পরের দিন ২৫শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অন্য মহিলাকে বিয়ে করেছে সংবাদ পেয়ে ইয়াসমিন শনিবার তার বাড়িতে গিয়ে ওঠে এবং সাইফুলের হাতে নির্যাতিত মার খায়। সংবাদ পেয়ে ইয়াসমিনের বাবা ও ভাই গিয়ে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মান হানীর ভয়ে শনিবার সন্ধ্যা রাতে তাকে বুজিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু খুনি প্রতারক সাইফুল ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে কল করে তার বাড়ি নিয়ে গিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ইয়াসমিনকেহত্যা করে।যার পত্যেক্ষ্য সাক্ষীর ভিডিও আমাদের হাতে রয়েছে।
ভোক্তভোগী সাংবাদিক মোক্তার হোসেন বলেন, আমার বোনের লাশ ময়না তদন্ত করে তাকে নারায়ণগঞ্জ দাফন করতে এলাকার কিছু ষড়যন্তকারীর কারনে এবং ২/৩ দিন যাবত মামলা নিয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর রহমানের কাছে ঘুরতেছি কিন্তু ওসি মামলা নিচ্ছে না।
গত ১৭/০৭/২১ তারিখের অভিযোগের ব্যাপারে কোণ ব্যবস্থা সোনারগাঁ থানা পুলিশ নিয়েছিল কি না তা জানার জন্য ওসি হাফিজুর রহমানকে কল করলে তিনি কল ধরেন নাই। তার মোবাইল নাম্বারের হোয়াটস অ্যাপে অভিযোগের ছবিসহ তথ্যের জন্য মেসেজ দেওয়া হয়, তিনি মেসেজ দেখেছেন কিন্তু কোণ জবাব দেন নাই। চলবে………