বর্ষিয়ান নেতা মোশারফের মৃত্যু বার্ষিকী নীরবেই কেটে গেলো

190

মোঃ মোক্তার হোসাইন:-নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান সোনারগাঁ উপজেলার এক প্রভাবশালী বর্ষিয়ান নেতা ছিলেন। তিনি তিনবার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। তার ছোট ভাই মোবারক হোসেন দুইবার ও তার ভাতিজা কায়সার হাসনাত একবার সোনারগাঁয়ের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও পারিবারিক ভাবেও তিনি ছিলেন উপজেলার দুই একটি পরিবারের মধ্যে একটি প্রভাবশালী পরিবার। সেই পরিবারের সন্তান মোশারফ হোসেন বার্ধক্যজনিত কারণে দুই বছর আগে ২২ শে জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। প্রভাবশালী এ নেতার মৃত্যু বার্ষিকী অনেকটাই চলে যায় নিরবে। গত বছর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে মোগরাপাড়া বাজারে ছোট পরিসরে মিলাদ মাহফিল করেই শেষ হয় তার মৃত্যৃ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানিকতা। এবার সেই আগের মতোই অনেকটা নিরবেই চলে গেলো তার মৃত্যু বার্ষিকী । তবে তার ভাতিজা মোবারক হোসেনের ছেলে ইফরান হোসেন দ্বীপ গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের সময় তার চাচা ও পরিবারের জন্য দোয়া করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের এক প্রবীন নেতা জানান, মোশারফ হোসেন চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেখেছি কত নেতা কর্মী তার পিছনে পিছনে ঘুরতেন তাদের যন্ত্রনায় আমরা কাছে যেতে পারতাম না। তার নাম বিক্রি করে তার পরিবার থেকে শুরু করে কত নেতা ধান্ধাবাজি করে কোটিপতি বনে গেছেন। শুনছি পরিবারের জন্য রেখে গেছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অথচ যে নেতার নামে কাঁপতো কয়েকটি এলাকা সেই নেতার মৃত্যুর দুই বছর না পেরুতেই সবাই ভুলে গেলো। এটা কি সম্ভব? হয়তো এটাই দুনিয়ার নিয়ম।

আরেক নেতা জানান, তার মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত তার আশপাশে কত নেতা দেখেছি। বিশেষ করে তার পরিবারের কিছু সুবিধাবাধী নেতা তার চামচামি করে মোশরাফ ভাইয়ের ওমুক আমি তুমুক আমি এ বলে বিচার আচার করে প্রশাসনের কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছে। সেই পরিবারের নেতারাও তাকে ভুলে গেছেন।

প্রয়াত নেতা মোশারফ হোসেনের একজন ঘনিষ্ট নেতা জানান, যৌবন কাল থেকে মোশারফ ভাইয়ের ছায়ায় ছিলাম। তখন দেখেছি ওনার কি ক্ষমতা তার ভয়ে বাঘে মহিষে এ ঘাটে পানি খেতো এমন অবস্থা। সে সময় ভাবতাম মোশারফ ভাই যেই প্রভাবশালী নেতা তার পেছনে যে হাজার হাজার লোক ঘুরে তিনি মারা গেলে এ সমস্ত লোকেরা বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়ার মত করে পুরো উপজেলায় তার মৃত্যু বার্সিকী পালন করবে কিন্তু মৃত্যুর পর দেখলাম তার উল্টো চিত্র। মৃত্যু বার্ষিকী তো দুরের কথা তাকে কেউ মনেও রাখেনি। দীর্ঘ নি:স্বাস ছেড়ে তিনি বলেন এটাই বাস্তবতা। আল্লাহ মোশারফ ভাইকে বেহেস্ত নসিব করুক আমিন।