বিএনপি নেতা দিপুর সহয়তায় অর্থ আত্মসাৎকারি মামুন ওমরায় পলায়ন

121

নারায়ণগঞ্জ সদর প্রতিনিধি :-নারায়ণগঞ্জ সদরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে নির্মাণাধীন টুপি ও তসবির দোকান নারায়ণগঞ্জ বাসির কাছে বেশ পরিচিত বললেই চলে। এই সকল দোকানে পাওয়া যায় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন দরনের দেশি বিদেশি নানা ধরনের টুপি,তাসবি,জায়নামাজ, আতর ও পবিত্র কুরআন শরীফ। নগরীর ডিআইটি মসজিদের এই টুপি ব্যবসায়িরা দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে তাদের জীবন পরিচালনা করে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন সকলের সুপরিচিত ও পছন্দের মানুষ টুপি তাসবি ব্যবসায়ি মোঃ আকরাম। নিরীহ স্বভাবের হওয়ার কারণে সকলের কাছে খুব পরিচিত একজন আকরাম টুফি হাউজের মোঃ আকরাম। কেউ তাকে হুজুর বলে ডাকে কেওবা ডাকে ভাই আবার কেউবা ডাকে চাচা বলে এতে আকরামের কোনো প্রকার আপত্তি নেই তিনি এতে আরো খুশি হন। কিন্তুূ এই আকরাম যখন নিজে পারিবারিক সমস্যার কারনে নিজের জীবনের সবচাইতে মূল্যবান এই ব্যবসাকে নিজের কর্মচারীর কাছে বুঝিয়ে দিই কিছুদিন পারিবারিক কলহের জন্য দোকানের বাহিরে থাকেন,আর সুযোগে  সময় বুঝে অর্থ আত্মসাৎ কারী তার দোকানের কর্মচারী বাবুরাইলের মোহাম্মদ মামুন তার দোকানের সর্বস্ব লুটে নিয়ে তাকে সর্বশান্ত করে দেয় যখন আকরাম পারিবারিক কোলহ মিটিয়ে নিজের স্বপ্ন দিয়ে গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হন এবং কর্মচারী মামুন জিজ্ঞেস করে দোকানের এই হাল কেনো তখন মামুন উত্তরে বলে হিসাব আছে সব আপনার জিনিস বুঝিয়ে দেব তখন আকরামের মাথায় আসমান ভেঙে পড়ে। পরবর্তীতে আকরাম যখন হিসাব  নিতে চাইল অর্থআত্মসাৎ কারী মামুন তার এলাকার ও মামাতো ভাই  স্থানীয় বিএনপি নেতা দিপু কে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ কারী কর্মচারী মামুন হিসাব করতে বসেন এবং হিসাবের পর মামুনের কাছে আকরাম এক লক্ষ ৫০ হাজার সাতশত ৯২ টাকা পাওনা হন এবং আকরাম সেই বিচার মেনে নিয়ে কর্মচারী অর্থ আত্মসাৎ কারি মামুনকে দোকান থেকে বের করে দেন নির্ধারিত সময়ে পার হওয়ার পর মামুনের কাছে আকরাম যখন টাকা চাইতে যায় তখন অর্থ আত্মসাৎ কারি মামুন তাকে বিভিন্ন তালবাহানা এর মাধ্যমে দেই দিচ্ছি এমন করে এক মাস দুইমাস পার করে। পরবর্তীতে হুজুর আকরাম মামুনের কাছে আবারো যায় এবং তার দুঃসময়ের কথা বুঝিয়ে বলে তার টাকাগুলো ফেরত চায় এবং তখনো তাকে সময়ের আবেদন করে ফিরত পাঠায় মামুন। তার পর আকরাম কোনো কিছু বুঝতে না পেরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন এবং পুলিশ নিয়ে মামুনের বাসায় গেলে মামুনকে না পেয়ে ফিরত আসেন। তার পর মামুনের হয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাবেক যুবদলের নেতা দিপুেকে দিয়ে বিষয়টি শেষ করার জন্য ভুক্তভোগী নিরীহ আকরামকে ফোন করে আসতে বলে। আকরাম তখন তার কথায় সম্মতি দেয় এবং বিএনপি নেতা দিপুর কথামত স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম কর্মী ও মানবাধিকার কর্মী দের নিয়ে জুলাই মাসের ৯ তারিখ বিকেল ৫টায় দিপুর বলা স্থানে উপস্থিত হয়। সকলের সমনে মামুন আকরামের পাওনা টাকা ফিরত দিবেন বলে দিপু ও মামুনের যোগসাজশে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ আকরামের পাওনা এক লক্ষ ৫০হাজার ৭৯২ টাকার থেকে শুধুমাত্র ৮০ হাজার টাকা দিবেন এবং বাকি টাকা মাফ করে দিতে বলেন। এই সকল কথা নিরীহ আকরম মেনে নেন এবং টাকা বিএনপি নেতা দিপুর কাছথেকে নিবেন বললে দিপু সকলের সামনে আকরামকে ওয়াদা দিয়ে বলেন যদি মামুন সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ টাকা না দেয় আমার কাছ থেকে নিয়ে জাবেন। কিন্তূ এখন জখন আকরাম দিপুকে ফোন করে  পাওনা টাকার বিষয়ে  জানতে চায় তখন উল্টো জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রধান করে। খোজ নিয়ে জানাগেছে অর্থ আত্মসাৎ কারি মামুন সেপ্টেম্বরের ২তারিখ ওমরা হজ্জের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে চলে গেছেন। এখন প্রশ্ন হলো কতো টাকার বিনিময়ে বিএনপি নেতা দিপু অর্থআত্মসাৎ কারি মামুনকে বিদেশ যাওয়ার জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করলেন। এখন নিরীহ আকরাম তার জীবন নিয়ে বেশ সংকটের মধ্যে আছে তিনি এখন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় করা অভিযোগে অর্থ আত্মসাৎ করিকে বিদেশ পালানোর সহয়তা করার জন্য পাতানো বিচারের আয়োজনকারী বিএনপি নেতা দিপুর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করবেন বলে চিন্তা করেন। এবিষয়ে বিএনপি নেতা দিপু সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে রিপোর্টার মোঃ রাকিব কে বিএনপি নেতা দিপু বলেন হে সকল কথাই সত্য কিন্তূ মামুন এখন দেশের বাহিরে। তার কথার উত্তরে সাংবাদিক রাকিব বলেন তাহলে কি আপনার মাধ্যমে যেই বিচার করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ পাতানো ছিলো  আর মামুনকে পালিয়ে যেতে সহয়তা করার জন্য কতো টাকা নিয়েছেন আপনি। এই কথার সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন বিএনপি নেতা দিপু।