ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, নয়টি মামলায় ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা জরিমানা

439

সময়ের চিন্তা ডট কম,চট্রগ্রামঃ ৭ জুন দুপুর ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বিএসটিআই ও সিএমপি পুলিশ সদস্য সহযোগে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন ১২,এয়াকুবনগর, ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় এস.এম. চৌধুরী বেভারেজ লিমিটেডের “স্পেশাল ড্রিংকিং ওয়াটার” ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: তৌহিদুল ইসলাম। বিএসটিআই এর লাইসেন্স ব্যতিরেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পানি উৎপাদন বাজারজাতকরণ ও বিপণণের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফ্যাক্টরিটির ওয়াসার ডিপ টিউবওয়েল ব্যবহার করার সনদ-ও নবায়ন করা নেই । সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা ফ্যাক্টরির পানির ট্যাংকের। সরেজমিনে পানির ট্যাংক টি পরিদর্শনে দেখা যায় আয়রন মিশ্রিত তামাটে বর্ণের নোংরা পানি ট্যাংকিতে জমা করা হয়েছে।  এই নোংরা পানি-ই ফ্যাক্টরির পানি উৎপাদানের প্রাথমিক উপাদান ।

পানি প্রক্রিয়াকরণের পর তা পরীক্ষা করার জন্য বিএসটিআই মানসম্পন্ন পৃথক সচল মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব ও কেমিক্যাল ল্যাব নেই।  ফ্যাক্টরি স্থলে উপস্থিত ম্যানেজার ও কর্মী কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাদের ফ্যাক্টরিতে কাজ করার জন্য সিভিল সার্জন অফিসের স্যানিটেশন সার্টিফিকেট-ও নাই।

ফ্যাক্টরির কর্মচারীরা জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, ২০১৭ সাল থেকেই ফ্যাক্টরিটি এই  অবস্থাতেই  পানি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছে। ফ্যাক্টরির কাগজপত্র ঘেটে এর প্রমাণ পান উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অপরদিকে আজ সকাল ১১.৩০ টায় নগরীর ঝাউতলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জন চন্দ্র দে।

বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত এই অভিযানের সময় দেখা যায় যে, বিভিন্ন মুদি দোকান,মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানে মূল্য তালিকা ঝুলানো নাই। এই বাজারের নাসিম স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঘি, সরিষার তেল ও কোমল পানীয় পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় পাঁচ হাজার জরিমানা করা হয়। অনিকা স্টোরকেও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঘি রাখার দায়ে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তাছাড়া কয়েকটা মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা ও অতিরিক্ত মূল্য রাখা প্রভৃতি কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে বিভিন্ন পরিমাণে জরিমানা করা হয়। সকল দোকানিকে আবারো সতর্ক করে দেয়া হয়েছে তারা যেন কোনভাবেই ক্রেতাকে না ঠকান। এই অভিযানে আটটি মামলায় মোট এগারো হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন নিরলশ  কাজ করে যাবে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে কালোবাজারি টিকিট বিক্রি রোধ করতে এবং রেল যাত্রীদের অহেতুক ভোগান্তি দূর করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রঞ্জন চন্দ্র দে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে দুপুর ১.৩০টার দিকে যান।

এসময় অহেতুক যাত্রী হয়রানি রোধে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়। স্টেশনে এসে টিকিটের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। রেলস্টেশনে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম সময়ে সময়ে পরিচালনা করা হবে। তাছাড়া স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডি ইঞ্জিনিয়ারস ক্লাব এর  সচেতনতামূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা হয়।