নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কাচা বাজারের দামের তথ্য

915

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শুক্রবার ২৮ই সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে।

নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলো কদর কমতে শুরু করেছে শিমের। ফলে মাসের অধিক সময় ধরে একশ টাকার উপরে কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কেজিতে কমেছে প্রায় ৪০ টাকা। বর্তমানে বাজার ও মানভেদে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া মুরগিসহ অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে যাওয়া বয়লার মুরগির দাম আজও একই রয়েছে। কেজিতে ৫ টাকার মতো কমা পেঁয়াজের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ও মানভেদে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শিমের কেজি ছিল ১০০-১২০ টাকা। সে হিসাবে শিমের দাম কেজিতে কমেছে ৪০ টাকা। তবে বাজারভেদে একই মানের শিম ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

দ্বীগু বাবুর বাজারে ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। একই মানের শিম কালিরবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। খানপুর বউ বাজার এলাকায় ভালো মানের শিম ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারের ব্যবসায়ী মো. সুমন বলেন, এক মাসের বেশি সময় ধরে শিমের কেজি ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে। এমনকি গত সপ্তাহেও ভালো মানের শিমের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সেই শিমের দাম কমে এখন ৬০ টাকায় নেমে এসেছে।

শিমের দাম কমার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাজারে শিম এসেছে এক মাসের বেশি হয়ে গেছে। ফলে প্রথমদিকে শিমের প্রতি মানুষের যে আগ্রহ ছিল এখন তার কমে গেছে। তাছাড়া বাজারে শিমের সরবরাহও বেড়েছে। যে কারণে দাম কিছুটা কমেছে। সামনে শিমের দাম আরও কমবে।

ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, কিছুদিন আগে এক কেজি শিম ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন সাদা রঙের শিমের কেজি বিক্রি করছি ৮০ টাকা। আর লাল রঙের শিম বিক্রি করছি ৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে সাদা ও লাল উভয় ধরনের শিমের কেজি ১০০ টাকার উপরে ছিল।

তিনি বলেন, আড়তে গেলে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে শিম পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক কম। আড়তে দাম কম হওয়ার কারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। আমাদের ধারণা আগামী সপ্তাহে শিমের দাম আরও কমবে। এখন দিন যত যাবে শিমের সরবরাহ তত বাড়বে, অন্যদিকে চাহিদা কিছুটা কমবে।

এদিকে গত সপ্তাহে শান্তিনগর বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শান্তিনগরের মতো রামপুরা অঞ্চলেও পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। রামপুরা অঞ্চলে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজি।

এ ছাড়া বাজারভেদে বয়লার মুরগিও আগের সপ্তাহের মতো ১৩০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সাদা ডিমপাড়া সাদা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। আর লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। বয়লার মুরগির মতো লালা লেয়ার ও সাদা মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ব্যবসায়ী মিরু বলেন, কোরবানির ঈদের পর অনেকদিন বয়লার মুরগির কেজি ১১৫-১২০ টাকা বিক্রি হয়। তবে গত সপ্তাহে দাম কিছুটা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়। এখনো বয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে।

এ দিকে সবজি বাজারে শিমের দাম কিছুটা কমলেও দামের উত্তাপ ছড়াচ্ছে টমেটো, ফুলকপি, শসা এবং গাজর। শিমের দাম কিছুটা কমায় এখন বাজারে সব থেকে দামি সবজির তালিকায় টমেটো ও গাজর।

বাজারভেদে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। আগের সপ্তাহেও এ সবজি দুটির দাম এমনই ছিল। বাজারের দামি আর এক সবজি ফুলকপিও আগের সপ্তাহের মতো ৫০-৬০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা দাম বেড়েছে শসার। গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে ৫০-৬০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বেগুন, উস্তা, বরবটি, কাকরল, করলা, পটল, ঝিঙা, ধুন্দল, ঢেঁড়স, লাউ, পেপের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা কেজি। উস্তার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। বরবটি ৫০-৬০ টাকা, চিচিংগা, পটল, ঝিঙা, ধুনদল, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি। পেঁপে আগের মতো ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজির মধ্যে।

সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, দুই-একটি সবজি বাদে অধিকাংশ সবজির দাম অনেক দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। ৪০-৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। এখন বাজারে শীতের আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। সামনে এসব সবজির সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা হলেও কমেবে।