সোনারগাঁয়ের অসহায়দের মনে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে মানবতার ফেরিওয়ালা “খোকা-মাসুম”

407

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ মহামারি করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারিসহ সকল আয়ের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রায় আড়াই মাস সব ধরণের আয় উপার্জনের পথ বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচার লড়াই অন্যদিকে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন গরীব অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো। আরও বেশি সমস্যায় পড়ে যেসব পরিবারগুলোতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে এবং যারা পুরোপুরি লকডাউনে পড়ে যায়। সার্বিক পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ভয়াবহ ও দুর্গম।

এই কঠোর পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের অসহায় মানুষের জন্য রীতিমত মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করেছেন দুই ব্যক্তি।দুই ব্যক্তি হলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। যাদেরকে কেউ বলছে করোনা যোদ্ধা কেউ বলছে মানবতার ফেরিওয়ালা। সর্বদিক থেকে দুই ব্যক্তির ভুমিকা নিজেদের অবস্থানের চেয়েও বেশি ছিল। নিজের দায়িত্বের বাহিরে গিয়েও মানবতা দেখিয়েছেন ও কাজ করেছেন সংক্রমণ ঠেকাতে। তারা কাজ করেছেন অসহায় মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে, কাজ করেছেন যারা করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসার জন্য। তাদের  এসব কর্মকান্ড এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানা এই দুই ব্যক্তির প্রশংসনীয় ভুমিকার কারনে করোনা মহামারির ইতিহাসে সোনারগাঁয়ের মানুষের মাঝে তাদের নাম থাকবে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মনে করছে সোনারগাঁয়ের আপামর জনগণ।

তথ্য সূত্রে, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা করোনা রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার্থে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন। চিকিৎসার জন্য করোনা রোগীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ্যাম্বুলেন্সের ফোন নাম্বারও দিয়েছেন সবার নিকট। একই সঙ্গে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য হট লাইন চালু করেছেন, যে হট লাইনের ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলেই তার টিমের সদস্যরা খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছে। তাছাড়া রাতের আঁধারে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। যারা রিক্সা ভ্যান অটো নিয়ে কাজের সন্ধানে বের হত সেসব ড্রাইভারদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছেন এমপি খোকা। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই তিনি সকল পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ করেছেন এবং প্রত্যেককে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, করোনার উপসর্গ ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের লোকজন যখন এগিয়ে আসে নাই তখন এমপি খোকার স্বেচ্ছাসেবক টিম ঐসব মরদেহ দাফন করেছে ও বর্তমানেও স্বেচ্ছাসেবীরা অসহায়দের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ করছে। প্রান্তিক কৃষকের ধান পাকতে শুরু করলে, শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানালে যুব সমাজ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ও ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা লিয়াকত হোসেনের ডাকে সাড়া দিয়ে অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিতে মাঠে নেমেছে।

অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনার মহামারিতে জনসেবায় বেশি আলোচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। তার নির্বাচনী পিরোজপুর ইউনিয়নেই তিনি ৩০ হাজারেরও বেশি পরিবারের মাঝে কয়েক দফায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দের ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে তিনি ভর্তুকি দিয়ে মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে জানা যায়। একই সঙ্গে তিনি পিরোজপুর ইউপির ৯টি ওয়ার্ড ছাড়াও করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ১৩ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর মাসুম। পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে আরও ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তার এসব খাদ্য সামগ্রী অসহায়দের মাধ্যে বিতরণ এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য যে, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করাসহ অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। নিয়মিত রুটিন মোতাবেক মাসুম চেয়ারম্যান শত শত পরিবারের মাঝে পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও  উপজেলার ৭০ জন হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করেন, ২৫০ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সোনারগাঁও থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পিপিই প্রদান করেন। বেদে সম্প্রদায় ও ভিক্ষুকদের মাঝেও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাঝেও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন, ৩৬ জন মুক্তিযোদ্ধার বাসায় পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করেন।এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়মুলক কর্মকান্ডও চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম শুরু থেকেই করোনা যুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা ও মানবসেবক হিসেবে ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপহার জনগণের মাঝে সুষম বন্টন করে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি সোনারগাঁ পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ সুরক্ষায় পিপিই উপহার দিয়েছেন। তিনি সদ্যভুমিষ্ট সন্তান বিক্রি করতে চাওয়া এক মা ও তার ৪ সন্তানের ভরন পোষনের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় মানবসেবার নামে সরকার থেকে দেয়া অসহায়দের খাদ্যসামগ্রী কিছু সংখ্যক মুখোশধারীরা চুরি’র ভুমিকায় শ্রেষ্ঠত্ব দেখালেও এরই মধ্যে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রকৃত সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মানব প্রেমী ফেরেশতা রূপী কিছু মানুষ। আর তারই ধারাবাহিকতায় কাজ করছে সোনারগাঁ উপজেলায় অসহায়দের দ্বারেদ্বারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে দুই অতন্ত প্রহরী খোকা ও মাসুম। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের গর্ব সফল ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম এবং সাদা মনের মানুষ, গরীবের বন্ধু, জননেতা এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

করোনা কাউকেই ছাড়েনা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হচ্ছে সাংবাদিক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, রাজনীতিবিদ, ডাক্তার, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও। যার যার সাধ্য মতো অনেকেই ত্রান আসহয়তা দিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের প্রতিবেশিদের ও আত্নীয় স্বজন্দের। সোনারগাঁ উপজেলায় সব বাধা আর ভয়কে উপেক্ষা করে মৃত্যু ঝুঁকি সামনে রেখে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী ও করোনা প্রতিরোধক দ্রব্যাদি নিয়ে দিনরাত অসহায় পরিবারের কাছে ছুটে যাচ্ছেন সোনারগাঁয়ের অহংকার ও প্রান প্রিয় জনপ্রতিনিধি ফেরেশতারূপী দুই প্রহরী খোকা ও মাসুম।

মাননীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন- সোনারগাঁয়ের অসহায় মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে তার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। লিয়াকত হোসেন খোকা আরও বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, মহান আল্লাহপাকের রহমত ছাড়া ইচ্ছে করলেই এমন বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে অসহায়দের পাশে সবাই দাড়াতে পারেনা। আমাকে আল্লাহ কবুল করেছেন বলেই আজ আমি অসহায়দের পাশে দাড়াতে পেরেছি। আমি এমপি নই, সোনারগাঁবাসীর সেবক হয়ে থাকতে চাই, কাজ করতে চাই।

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়নের গর্ব সফল ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন-সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী সোনারগাঁয়ের অসহায় মানুষের মধ্য বিতরন করছি। যতদিন আমার সামর্থ্য আছে আমি সহোযগিতা চালিয়ে যাব ইনশাল্লাহ। জনেসেবা আমার ব্রত,সামাজিক উন্নয়ন আমার স্বপ্ন। প্রয়োজনে আমার জায়গা-জমি, সম্পত্তি বিক্রি করে মমতাময়ী মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করব।

এই দুই মানবতার ফেরিওয়ালা, জনতার বন্ধু ও মানবসেবী তাদের সেবা বিদ্যমান রেখেছেন এবং তা দুর্যোগ শেষ না হয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন। সোনারগাঁয়ের অসহায় মানুষ সর্বদাই তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে।