দ্বীনে মোহাম্মদী (স: ) প্রচার কেন্দ্রের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

715

সময়ের চিন্তা ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা সোনামনি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল সংলগ্ন সত্য পথ, সত্যের দিশারী, সত্যের বাহক  বাবা সামছুল হুদা দ্বীনে মোহাম্মদী (স:) প্রচার কেন্দ্রে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার ( ২১ নভেম্বর ) দুপুরে বন্দর রেলওয়ে স্টেশন, রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টার পুরাতন বন্দর  সোনামনি কিন্ডার গার্টেন স্কুল সংলগ্ন  বাবা  সামছুল হুদা দ্বীনে মোহাম্মদী (স: ) প্রচারক তার নির্দেশিত পথে সত্য পথ ও কালাম প্রচারক গোলাম মর্তুজা’র উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাহআলম তালুকদার  সম্পাদক, দৈনিক রূদ্রবার্তা ও রুদ্রকন্ঠ,  মো: সিরাজুল ইসলাম মন্ডল সভপতি-বঙ্গবন্দ্ধু ফউন্ডেশন  নারায়ণগঞ্জ জেলা, মো: আবু কালাম আজাদ সিনিয়র শিক্ষক, ইসলামিয়া আলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা নারায়নগঞ্জ, মো: বাবু সারোয়ার পরিচালক সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রাঃ লিমিটেড , বিপ্লব সাউদ সমাজ সেবক, মো: তোফাজ্জল হোসেন বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, ফয়সাল রাজু বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য পাঠ করেন দ্বীনে মোহাম্মদী (স:)   প্রচারের কালাম শরিফ প্রচারক বাবা গোলাম মর্তুজা । যা নিম্ম্রুপঃ হুজুর করিম (স:) আল্লাহ্র  অমরত্ব এবং যাবতীয় বস্তুর সংরক্ষণকারিত্ব। ঐ উক্তি দ্বয়ের  মূলেতে হয় সহজেই বোধগম্য সৃষ্টির সেরা মানুষ উভয় ধরাতে। আল্লাহ্র নূরে রাসুল সৃষ্টি, রাসূলের নূরে সকল বস্তুর প্রকাশ আছে যাহা ভূ-মন্ডল ও নভোমন্ডলে, আরশ র্কুসী লওহে মাহ্ফুজে, সংরক্ষিত কুরআন ও নব্বই হাজার কালাম। ছিলেন সাঁই নিরাকারে নিরঞ্জন, হয়েছেন প্রকাশ প্রশংসিত মোহাম্মদ নামে এ নশ্বর পৃথিবীতে। করেছিলেন সৃষ্টি প্রথম মানুষ আদম (আঃ) কে কুন কালামের অধ্যাদেশে এ নশ্বর ভূবনে। একই ভাবে সৃষ্টি আদম (আঃ) মোহাম্মদ (স:) এর নূরেতে। নহে কোনো ঘোরত্ব রবিউল আওয়াল চাঁদের, নাই কোনো শ্রেষ্ঠত্ব ১২ই রবিউল আওয়াল দিবসের। করতে হবে আপ্রাণ সর্বান্তকরণ চেষ্টা, প্রয়াস, লভিতে আল্লাহ্-রাসুলকে, চৈতন্য গুরুর পায়রবিতে, হবে উদযাপিত সর্বক্ষণই জম্ম দিবস বা মহান ১২ই রবিউল আওয়াল জীবনান্তে প্রতি নিঃশ্বাসে। হউন সহায় বাবা ও জগত মা মোদের মঙ্গলের তরে এই মহান দিবস উপলক্ষে। আমীন।

শুরু করতেছি বাবার পদদ্বয়ের এক কণা ধুলা বালুর অপার কৃপাতে, করতে ব্যক্ত জম্মতথ্য উপলক্ষে। করলে না সৃষ্টি-নবীকে করতেন না সৃষ্টি কিছুই, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন করছিলেন-সর্ব প্রথমেই যিনি স্বয়ং নূর বা জ্যোতির অংশে নূর নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) এর নূর। সৃষ্টি এবং নূর বা জ্যোতি থেকে কুল মখ্লুক তথা আরশ-কুরশী, লওহ্ কলম, জ্বীন-ইন্ছান, বেহেশ্ত  ইত্যাদির সৃষ্টি। এই জগৎ সৃষ্টির আদি কারণ নূর মোহাম্মদ ও নূরই- মোহাম্মদীর উপলব্দি ব্যতীত মানব জনম বৃথা। এখানে ব্যক্ত হয়েছে সৃষ্টি তত্ত্বের গোড়ার কথা, দেহ তত্ত্বের মাধ্যমে স্পষ্ট করে। বীজ মালেক সাঁই, বৃক্ষ নবী, দিল ছুড়িলে দেখা যাবে। অর্থাৎ গাছ থেকেই বীজ এবং বীজ থেকে আবার গাছ চলে আসছে এইভাবে জগৎ। সৃষ্টি প্রথমে আল্লাহ্ একা ছিলেন (নূর বা জ্যোতি স্বরূপ) ছিল না কিছুই, যাবে পাওয়া এর খবরই মানুষের দিলে (অন্তরে)। করলেন বাসনা প্রভূ সৃষ্টির নিজ নূর থেকে নবীর নূর সৃষ্টি করে (নূরই মোহাম্মদী) দোসর হলেন। এবং করলেন আদেশ তারপরে-হও (কুন) আর এমনি সব হয়ে গেল। হল সৃষ্টি গাছ, বীজ, অঙ্কুর থেকে আবার গাছ, এমনি করে চলতে থাকলো এবং অনন্তকাল চলতে থাকবে। বলা বাহুল্য সৃষ্টির মন্ত্র একবার মাত্র উচ্চারিত হয়েছিল , আর হয়নি; ভবিষ্যতেও আর হবে না। কিন্তু সৃষ্টি চলছেই এবং চলবে- লালনের গানে যে সৃষ্টি তত্ত্ব বর্ণিত হয়েছে, আসলে তাহা এই দ্বিতীয় পর্যায়ের সৃষ্টি, এই সৃষ্টির স্রষ্টা মানুষ নিজে।  বস্তু ছাড়া নাহি কিছু আল্লাহ কিংবা হরি, এই মত দেখ সবে নর বস্ত ধরি। অর্থাৎ  বস্তুই স্রষ্টা, আল্লাহ বা হরি তাঁকে যে নামে ডাকিনা কেন। এবং আল্লাহ্ কে পেতে হলে নর বস্তু ধরা ছাড়া গত্যন্তর নাই। আবার কেউ বা সৃষ্টির উপাদান রজ: বীর্য-কেই স্রষ্টা বলেছেন- প্রশ্ন হতে পারে রজ: বীর্য বস্তু দুটি আসলে কী?  জবাব –নর- সৃষ্টির উপাদান। রজ:- নারী, বীর্য-নর এই নারী ও নরের মিলনে জম্ম হয় মানবাষ্কুরের এবং মানুষের মধ্যেই নর জম্ম লাভ করেন। স্রষ্টা অর্থাৎ মূল স্রষ্টার প্রতীক (=মানুষ)। এভাবে প্রকারান্তরে স্রষ্টাই সৃষ্টির মধ্য দিয়ে নিজেকে নব নব রূপে প্রকাশ করে চলছেন। পবিত্র কুরআনের বাণী:- খালাক্বাল ইন্ছানা মিন আলাক। মানে, আল্লাহ্, মানব জাতিকে করেছেন সৃষ্টি-এক বিন্দু নাপাক পানি বা বীর্য থেকে। আলাক্ব শব্দের অর্থ বীর্য। কুরআনে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে- খুলিক্বা মিম্ মায়েন দাফিক্বী, ইয়াখরুজু মিম বায়নিস্ সুলবি ওয়াত্তারায়িব”। মানে করা হয়েছে সৃষ্টি মানুষকে এক বিন্দু বেগে ধাবমান পানি থেকে, যার উৎপত্তি হয়েছে (পুরুষের) দুই পাঁজরার মাঝখান থেকে। সৃষ্টি হয়েছে মানবাস্কুর (অবস্তু থেকে বস্তু) কুরআন অনুসারে, এক বিন্দু নাপাক পানি থেকে স্রষ্টার আদেশে। প্রথমে পানি থেকে মনী’বা বীর্য, পরে বীর্য থেকে মানবাঙ্কুর। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বীর্য সৃষ্টির উপাদান মাত্র স্বয়ং স্রষ্টা নয়। আছে মিশে সৃষ্টির মৌলিক আঠারোটি উপাদান এই বিন্দু পানির সঙ্গে। আছে যার মধ্যে- মায়ের চারি, বাপের চারি এবং স্রষ্টার দেওয়া, আরও দশটি চিজ:- যথা- (১) মায়ের গোস্ত, পোস্ত, পশম ও খুন। (২) বাপের অস্থি, মজজা, শৌর্য ও বীর্য। (৩) স্রষ্টার- বাকশক্তি, শ্রবণ শক্তি, ঘ্রাণ শক্তি, দৃষ্টিশক্তি, ঈমান, বুদ্ধি, চেতনা, জীবন, রুহ ও শরীর। আছে ইশারা এই সৃষ্টি তত্ত্বের কুরআনেও  ব্যাখ্যা আছে তার হাদিসে এই আঠারো চিজে গঠিত মানবদেহ ধারণ করে, মানুষের আজ আর অন্ত নেই গর্বের। কিন্তু ভূলে যাচ্ছে মানুষ তার সৃষ্টির পূর্ব কথা সৃষ্টির পূর্বে সে কি ছিল? হাদিস শরীফে আছে- আল্লাহ্ বলেছেন- আমি আদিতে গোপনীয় খনির মত গুপ্ত ছিলাম। মনে নিজেকে প্রকাশের বাসনা জাগল তাই সৃষ্টি করলাম সমগ্র সৃষ্টি সবার শেষে সৃষ্টি হল আদম, মানব জাতির আদি পিতা এবং তারই পাজরার হাঁড় থেকে বিবি হাওয়া রূপে আদি মানবীর জম্ম হয়। এই প্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে, সাধারণ নর-নারীর সৃষ্টি আর আদি মানব- মানবীর সৃষ্টির প্রক্রিয়া এক নয়- কিন্ত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল স্থুল জগতের মৌলিক উপাদান থেকে। আর সাধারণ মানব জাতির সৃষ্টি হল; সৃষ্ট মানব- মানবীর যৌন মিলনের মাধ্যমে। আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন তিনি তা সৃষ্টি করেন। যখন কোন কাজ করার ফয়সালা করেন তখন শুধু বলেন: (কুন)  অর্থাৎ  হয়ে যাও- আর তখনি তা হয়ে যায়, কলেমাতুল্লাহ- অর্থ হযরত ঈসা (আঃ)। যেহেতু তিনি পিতার মাধ্যম ছাড়া একটি মাত্র ‘কুন’ শব্দ দ্বারা সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম জম্মলাভ করেন। পক্ষান্তরে: আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছিলেন দয়াময় স্থুল জগতের মৌলিক উপাদান থেকে। এখানেই জম্ম তথ্য বা সৃষ্টি তথ্যের নিগূঢ় উৎপত্তি। মাগিতেছি ক্ষমা, গুরু বাবা ও জগত মার পদ ধুলির কৃপায়। আমীন।।

আমন্ত্রিত মোরা এই ক্ষণস্থায়ী নশ্বর জগতে নশ্বর দেহ নিয়া চিরচারিত ভাবে আল্লাহ্-রাসুলের অপার কৃপাতে। করিতে উভয় ক্ষণিকের তরে, এ ভবের নাট্যশালায় নাট্যমঞ্চে। দিতে হবে আত্মাহুতি মহাপ্রভূর পবিত্র গ্রন্থাবলীর অমোঘ বাণীতে। করিতে হইবে অনুসরণ হুজুর করিম (স:) এর পদাঙ্কে। দেহ ভ্রামান্ড দশগুন বড় পার্থিব ভ্রমান্ড হতে উভয় ভ্রমান্ড দুইভাবে নিয়ন্ত্রিত নশ্বর ও অবিনশ্বরেতে। ক্ষণস্থায়ী রূপ আকার ধারণ করে আছে নশ্বর জগত ও নশ্বর দেহ। হইতেছে সংঘটিত প্রলয় অবিরত উভয় জগতে ও দেহে। ভরপুর এ ক্ষণস্থায়ী জগত প্রাকৃতির জাকজমক চাকচিক্য পূর্ণ  প্রচার-প্রচারণায়। তদরূপ আছে বিরাজমান দেহ ভ্রমান্ডে জীবাত্মা বা ইব্লিশ শয়তান। রেহাই পান নাই যার কবল হইতে আদম (আঃ)। ওয়ালা তাকলুলি মাইয়ুাক্বতালু ফী ছাবিলিল্লাহি আমওয়াত বাল আহইয়াঊঁ ওয়ালাকিল্লা তাশউরুন। অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছে তাঁরা বরং জীবিত, তাহাদিগকে মৃত বলিয়া মনে করিও না। জীবাত্মার জগত এ পার্থিব ধরা পক্ষান্তরে: অবিনশ্বর জগৎ  মানবাত্মার জগৎ। করিতে হইবে অপসারিত মন হইতে একবারে জীবাত্মার জগৎ এ পার্থিব ধরাকে, এমনিই স্মরণ থাকবে আল্লাহ্-রাসূলের দিতে  পারে যারা বিয়োগ এ ছলনাময় ধরাকে, রয়েছে তাদের জন্য শুভ সংবাদ মহাপ্রভূ আল্লাহ্ ও রাসূল হতে। হইবে সফলকাম র্সক্ষেত্রে জীবনের প্রতি নিঃশ্বাসে নিঃসন্দেহে।

১) – × + = –

২) + × –  = –

৩)  – × – = +

১) – বিয়োগ x পূরণ + যোগ, সমান সমান = – বিয়োগ

২) + যোগ x পূরণ – বিয়োগ , সমান সমান = – বিয়োগ

৩) – বিয়োগ x পূরণ – বিয়োগ , সমান সমান  + যোগ

যাইব ফিরিয়া আবার সেই জগতে যে জগত হইতে আসিয়াছিলাম তার নাম অবিনশ্বর জগত। এখানেই বাস করে অবিনশ্বর আত্মা বা মানবাত্মা চর্ম চোখে এ জগত দেখা যায় না। দিব্য চক্ষু, দিব্যকর্ণ, দিব্যজ্ঞান বিশিষ্ট মানবদের জন্য মহাসোপান। পার্থিব জগতের মোহে শিলাবত হইয়া কষিতেছি সদাই মোরা, যোগ-বিয়োগের অংক শাস্ত্র, রহিল না বাকী কিছুই পরকালের তরে। শুধু মাত্র জীবাত্মার জৌলষে হয়েছে ব্যক্ত যাহা ১নং, ২নং কলামে যারা পার্থিব অজ্ঞ, অন্ধ, বধির, পাগল, কিছুই জানে না, বুঝে না, দেখে না, শুনে না, হারাইয়া ফেলেছে বোধশক্তি, বিভূর সদাই প্রভূ প্রেমে তারাই জ্ঞানী সবজান্তা, চিরস্থায়ী নাগরিক অবিনশ্বর জগতের তরে। ভূলে অতীত ভবিষ্যতকে প্রতি নিঃশ্বাসের তরে। থাকে মগ্ন বর্তমানকে নিয়ে, করে ন্যস্ত আল্লাহ্-রাসুলের পায়রবিতে। হবে সমাধান অংক শাস্ত্রের এখানেই উল্লেখ আছে যাহা দ্বিতীয় পৃষ্ঠার তৃতীয় নাম্বার সাঁড়িতে।

To see the world in the grain of sand

And the Heaven in the wild flower

To  hold the Infinity on the palm of hand

And the eternity in an hour.

পৃথিবীকে দেখ কণা বালুতে এবং স্বর্গ দেখ বণ্যফুলের মধ্যে, অসীমকে ধর, হাতের তালুতে এবং অনন্তকালকে এক ঘন্টাতে। ফাযকরুনি আযকুরুকুম ওয়াস কুরুলী ওয়ালা তাক্ফুরুন। অর্থাৎ যদি স্মরণ কর আমাকে (আল্লাহকে) করিব স্মরণ তোমাদিগকে, যদিও থাক রত, পার্থিব কর্মে জীবিকা অর্জনের তরে। ইন্নাফি খালকিস সামাওয়াতি ওয়াল র্আদ্বি ওয়াখতি লাফিল লাইলি ওয়ান্নাহারি লা আয়াতিল লিউলিল আলভাব। (সূরা আল্ ইমরান-১৯০) অর্থাৎ নিশ্চয়ই ভূ-মন্ডল ও নভোমন্ডলের সৃজনে দিবা-রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য নিদর্শন রহিয়াছে। যাহারা দাঁড়ান অবস্থায় ও শয়ন অবস্থায় আমাকে স্মরণ করে। (সূরা আল্ ইমরান ১৯০ নং আয়াত)

আমল মানুষের দাস, করে যদি পালন জীবন ভর, করিতে পারে পরিপূর্ণ জীবন লাভ, ইহাই দ্বিমুখী প্রকৃতি, পারলে বাঁচাতে নিজেকে, হবে লাভ আল্লাহ্-রাসুল চিরতরে। বাহ্যিক আমল জীবত্মার জৌলষ, আভ্যন্তরীণ আমল আল্লাহ্- রাসুলের পথ। করলে গ্রহণ নবীর দ্বীন জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে, পালন হয় যাহা কঠিন সংযম ও সংগ্রামের বিনিময়ে। মোরা সবাই পন্ডিত, থাকি শুধু পার্থিব গন্ডিত। বুক ভরা পার্থিব জৌলস, খোলা হইবে না তাতে আল্লাহ্- রাসুলের পথ। শুরু সত্য, বাক্য সত্য সত্য গুরুর বাক্যেই নবীর দ্বীন। করিও না দায়ী গুরুকে মিছামিছি। ছাড় জৌলষ, লেহাজ কর গুরু বাক্য, আত্মসমর্পণের ও ভজনের মাধ্যমে। গুরুর বাক্য গ্রহণ করিলে যখন, মরিবে তখন মরার মতই। দোষ দিওনা মোরে, রহিল অনুরোধ তোদের ধারে, দিওনা অট্যহাসি, করিও না বিদ্রুপ, বিদ্রোহ আল্লাহ্-রাসূলের পথে মান যদি গুরুকে, লেহাজ কর কালাম, হবে না দায় শোধ বিশ্বের ধন ভান্ডারের বদলে, বেশী গরুতে গোয়াল ঘর নষ্ট। আদব একজনই যথেষ্ঠ। নিজেকে বাঁচালে সাড়া বিশ্বকে বাঁচাইতে পারে। ছড়াইলে উলুবনে মুক্তা, যাবে না  দেখা মুক্তার সত্তা বাঁধিলে ঘন্টা বিড়ালের গলায়।  মেও ধরবে কে? না চুই পানি, না ধরি মাছ, শেষ পর্যন্ত হবে না, কোনো কাজ। পীরালী বেশ্যা বৃত্তি-হইতেও অতি জঘন্য, বেশ্যা পাবে রেহাই, গ্রহনিয়া নবীর দ্বীন। ঘৃণা কর বেশ্যাবৃত্তিকে, বেশ্যাকে নয়। সহায় হউন বাবা মোদের হেদায়তের তরে।  আমীন।।

মিলাদ ও দোয়া শেষে উপস্থিত নবীর আশেকানদের মধ্যে নেওয়াজ বিতরন করা হয়।