জাগো নজরুলের রণ সুরে বাঙালি
—- আশরাফুল এমডি
কোথায় আছি বেঁচে
আমি কোন সোনার দেশে ।
যেথায় কান্নার সুর মা –
বোনের চিৎকার আসে ভেসে ।
কি চেয়েছিল একাত্তরে
আর কি পেয়েছি আজ ।
যারা দুঃখি তারা দুঃখিই
রাজাকারা-ই করছে রাজ ।
চোখ খুলে দেখি পত্রিকায়
কালো অক্ষরে লেখা পাতায় ।
আত্মহত্যায় মরছে মা-বোন
পড়তে যে চোখে পড়ে যায় ।
কেনো মরলো ঐ মা-বোন
প্রশ্ন যখনি হলো আমার ।
উত্তর নেই তার মাথা রাখার
চারদিক তার শুধু হাহাকার ।
সবুজ-শ্যামল-রুপসী বাংলা
আমার এই ছোট্ট সুন্দর দেশ ।
তার মাঝে গণধর্ষণ-গণহত্যা
আমি রোজ দেখছি বেশ ।
চেয়েছিল কি মুক্তিবাহিনী
আজ বোনটির করুণ কাহিনী ।
চেয়েছিল কি একাত্তর বাহিনী
গণধর্ষণ-গণহত্যার নতুন কাহিনী ।
গণধর্ষণে হচ্ছে যারা স্বীকার
ওরা আমারই মা-বোন ।
ন্যায় বিচার পায় না কেনো
নেই দাম সামাজে কোন ক্ষণ ।
পুলিশরা আজ টাকার চাকর
টাকাই বোধ হয় তাদের বাপ ।
ওরা মৃত্যুকে ভুলেই গেছে
ভুলে গিয়েছে কাকে বলে পাপ ।
চক্ষু খুলে দেখি একঘর এগিয়ে
ধর্ষণ হলে দোষ নেই পুলিশের ।
যারা হলো দোষী তারাই হা হা হা
বাহাদুর এই সবুজ-শ্যামল দেশের ।
কেউ হলো মন্ত্রীর ভাগিনা
এমপি আবার কারও বাবা ।
কোন পুলিশ ধরলে তাকে
পরে ভুল বলে করে তওবা ।
কোথায় আজ বাংলার সংবিধান
কোন পাঠাগারে আচে রাখা ।
চাকরী জন্য মুখস্থ করতে হয়
তার বাস্তবতায় কেনো ফাঁকা ।
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন কি
এই সংবিধান লেখা ।
শিশুটির মুখের হাঁসি,
আজ কান্নার ছবি আঁকা ।
কি চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান
এই পদ্মা-মেঘনা-যমুনায়
লাশের উপর লাশের সু-ঘ্রাণ ।
রোজই হচ্ছে অনেক বোন ধর্ষণ
তারা রাখছে ধামা-চাপা দিয়ে ।
ধর্ষিতা হলে পিতার মাথায় চিন্তা
কন্যাকে করিবে কে বিয়ে ।
আবার সমাজে জীবন নাশের
হুমকির মুখে সাধারণ পড়ে ।
অস্ত্র দেখে তারা ভয়ে থাকে
কথা কয় না ঘরের বাহিরে ।
ঐ ভীতুদের বলছি আমি আজ
বেঁচে থেকে করবে কি জীবনে ।
থাকো যদি ঈঁদুরের মতো গর্তে
ভয় করে ঐ বিড়ালের আক্রমণে ।
আজ সবাই এক হই চলো
করি প্রতিবাদ ওদের বিরুদ্ধে ।
নজরুলের রণ গান ধরি সবাই
এসো ন্যায়-অন্যায়ের যুদ্ধে ।
কত ভাই আজ মরছে দেখি
রাস্তার ধারে আছে পড়ে ।
কবে হত্যাকারীর হবে শাস্তি
বঙ্গবন্ধুর গড়া ঐ কাঠগড়ে ।
আমি আর চাই না দেখতে
মায়ের স্নেহের খালি বুক ।
আমি চাই না আর শুনতে
বাবা-মেয়ের কান্নার শোক।